কুলাউড়া প্রতিনিধি

২০ নভেম্বর, ২০১৭ ১৪:১৪

কুলাউড়ায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় দপ্তরির অব্যাহতি নিয়ে ধুম্রজাল!

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া একটি বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে একই প্রতিষ্ঠানের সুমন বেগ (৩০) নামের দপ্তরীর অব্যাহতি না পদত্যাগ এ নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত সুমন বেগ একই ইউনিয়নের বিজলী গ্রামের জব্বার বেগের ছেলে।

গত রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ইউনিয়নের বিজলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার উপজেলার টিলাগাঁওয়ে বিজলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিদিনের মতো স্কুলে যায় ৪র্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী। স্কুলে অনেকসময় শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে দপ্তরী সুমন বেগ ক্লাস নিত। রোববার দুপুরে ক্লাস করার এক পর্যায়ে দপ্তরী সুমন ওই ছাত্রীকে ঝাড়ু আনতে ২য় তলায় পাঠায়। ঝাড়ু আনতে ছাত্রীটি ২য় তলায় গেলে পিছনে পিছনে যায় সুমন বেগ। এক পর্যায়ে একা পেয়ে ছাত্রীর মুখে চেপে ধরে সে এবং জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় ছাত্রীটি চিৎকার আর দৌড়ে নিচতলায় এসে সবাইকে বিষয়টি বলে। পরে স্কুলের শিক্ষক, স্থানীয় লোকদের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে দপ্তরী সুমনকে প্রথমে বেঁধে রাখা হয়। ওই ছাত্রীর স্বজনেরা বিষয়টি জানতে পেরে বিদ্যালয় ঘেরাও করে দপ্তরীর শাস্তির দাবি জানান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। ইউএনও ছুটিতে থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে তাকে (সুমন বেগ) দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।

সুমন বেগের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বিজলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরনী মোহন চন্দ বাবু্লের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমিও বিষয়টি পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি। তবে এ ঘটনার পর চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠকে সিদ্বান্তনুযায়ী সুমন বেগ স্বেচ্ছায় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতিপত্রে স্বাক্ষর দেন। বিষয়টি রাজনৈতিক কারণে হতে পারে, সুমন বেগ জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত।

কথার এক পর্যায়ে প্রতিবেদককে তিনি বলেন, সব কথা আপনাদের বলা যাবেনা, বললে আপনারা আবার সেটা লিখে দিবেন। ধরনী মোহন চন্দ বাবু্ল তাঁর বক্তব্য এবং সংবাদটি প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান।

টিলাগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক জানান, ঘটনাটি যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে, ঘটনাটি সেভাবে ঘটেনি। দপ্তরী সুমন স্বেচ্ছায় তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মো. গোলাম রাব্বী বলেন, আমাকে স্কুল গভর্নিং বডির সভাপতি এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি অবহিত করেছেন। তারা জানান বিষয়টি ইভটিজিং। আমি ছুটিতে থাকায় সশরীরে উপস্থিত হতে পারিনি। তবে উনাদেরকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত