সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:৪১

সিলেট-তামাবিল-জাফলং সড়ক সংস্কারে ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্ধ

সিলেট-তামাবিল-জাফলং জাতীয় মহাসড়কের জৈন্তা হতে জাফলং পর্যন্ত (তামাবিল ল্যান্ডপোর্ট কানেকটিং ও বাল্লাঘাট সংযোগ সড়কসহ) সড়ক উন্নয়নে ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

মঙ্গলবার একেনেকের বৈঠকে এই প্রকল্পসহ মোট ১৩টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন মিলেছে।

১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ ব্যয়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়। একনেকের সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৪১৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করছে ১১ হাজার ৮২২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। বাকি ৫৯২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা পাওয়া যাবে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে।

সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্প সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ৩২৭টি সরকারি ও ১৯ হাজার ৩৫৭টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯১ লাখ ৬০ হাজার ৩৬৫ জন। ‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্পের’ আওতায় ৩ হাজার ২৫০টি বেসরকারি বিদ্যালয়ের ভবন সম্প্রসারণসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সরবরাহ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর পুরোটাই বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষা খাতে আইসিটিকে তৃণমূল পর্যায়ে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে একনেকের সভায় ‘শিক্ষার জন্য ১৬০টি উপজেলায় আইসিটি ও রিসোর্স সেন্টার স্থাপন-২য় পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে প্রকল্পের আওতায় ১২৫টি উপজেলায় আইসিটি ও রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে সারা দেশে আরো ১৬০টি উপজেলায় আইসিটি ও রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ ব্যুরো অব এডুকেশনাল ইনফরমেশন অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকস (ব্যানবেইস) জুলাই-২০১৭-জুন-২০২০ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হলো— স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ (২য় পর্যায়)’, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (৩য় পর্যায়)’, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘খুলনা শহরে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ’, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৫ম পর্যায়’, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘ঢাকা-সিলেট-তামাবিল-জাফলং জাতীয় মহাসড়কের জৈন্তা হতে জাফলং পর্যন্ত (তামাবিল ল্যান্ডপোর্ট কানেকটিং ও বাল্লাঘাট সংযোগ সড়কসহ) সড়ক উন্নয়ন’, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ‘লালমনিরহাট টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন’, সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা নদী হতে পুনরুদ্ধারকৃত ভূমির উন্নয়ন এবং প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষা প্রকল্প, চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় সাঙ্গু ও ডলু নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প, রাজশাহী শহরের তালাইমারী চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কয়ার নির্মাণ, পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্প এবং ‘ইসিবি চত্বর হতে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প’।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত