হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

১১ জানুয়ারি, ২০১৮ ০১:০৯

হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে পাঠদান শুরু

হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের প্রথম ব্যাচের পাঠদান শুরু হয়েছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের নবনির্মিত ২৫০ শয্যার ভবনের সামনে মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে প্রথম ব্যাচে ৫১ ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু হলো দেশের ৩১তম এই সরকারি মেডিকেল কলেজের।

পাঠদান কার্যক্রম উদ্বোধনের পর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মুজিবুর রহমান পলাশের সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির।

বিশেষ অতিথি ছিলেন– সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম, যুগ্ম-সচিব মনীন্দ্র কিশোর মজুমদার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মুখলেছুর রহমান, জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা, সিভিল সার্জন ডা. সুচিন্ত চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রথীন্দ্র চন্দ্র দেব, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সত্যেন্দ্র চন্দ্র শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম সামছুর রহমান সামস, নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী ও গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ মোহাম্মদ আন্দালিব, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ডা. মো. ইশতিয়াক রাজ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুকিদুল ইসলাম মুকিদ প্রমুখ।

২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর শহরের নিউফিল্ড মাঠে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির হবিগঞ্জে একটি করে মেডিক্যাল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা ও বাল্লা স্থলবন্দরকে আধুনিকায়নের দাবি জানান। এ দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একটি মেডিক্যাল কলেজ, একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা ও বাল্লা স্থলবন্দরকে আধুনিকায়নের ঘোষণা দেন।

২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মাহমুদা আক্তার ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেন। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ চালুর ঘোষণা দেন। তবে অনুমোদন পাওয়ার পরও ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে এ কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ফের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই সময় অস্থায়ী ক্যাম্পাস নির্ধারণ করা হয় জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের নির্মাণাধীন ২৫০ শয্যার ভবনকে। সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবু সফিয়ানকে নিয়োগ করা হয় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ওই শিক্ষাবর্ষেও শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়নি। পরবর্তী সময়ে সংসদ সদস্য আবু জাহির সংসদে ও সংসদের বাইরে বারবার বিষয়টি উত্থাপন করায় চলতি শিক্ষাবর্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ কলেজে শিক্ষকদেরও পদায়ন করা হয়েছে। ছাত্রীদের হোস্টেল হিসেবে হবিগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালকে ব্যবহার করা হবে। আর ছাত্রদের জন্য অনন্তপুর এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেওয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত