মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

২০ জানুয়ারি, ২০১৮ ১১:৩৭

রবীন্দ্র মূর্ছনায় এক এপার-ওপার বাংলা

সার্ধ শতবর্ষ পরেও সৃষ্টি ও দর্শনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিত্য; প্রাসঙ্গিক। জীবনের প্রতি বাঁকে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি ও দর্শন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিত্য; প্রাসঙ্গিক বিচরণ বাঙালি ও বাংলায় তথা বিশ্বব্যাপী। সুখ, দুঃখ, আনন্দ-বেদনা কিংবা অসীমের সাথে মর্ত্যের একাত্মতায় তাঁর সৃষ্টি জীবনজুড়ে বহমান, হোক সে শৈশব, তারুণ্য কিংবা বার্ধক্য; জীবনের প্রতিটি ধাপেই যেন পথ দেখায় রবিঠাকুরের অমিয় বাণী।

তাইতো বাঙালির কবি হয়েও তিনি আজ বিশ্বজনের সখা, একের হয়েও বহু-জনের, বহু মতের। সৃষ্টি থেকে স্রষ্টা; ভূমি থেকে শূন্য-সকল অনুভূতিতেই তাঁর বিচরণ। এভাবেই অনুরাগীর 'জীবন-চলা' হয়ে উঠে 'রবীন্দ্র যাপন'।

মৌলভীবাজারে আলোকধারা ও সুরেরবেলা'র যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র সংগীতের অনুষ্ঠান 'আজি এ আনন্দ সন্ধ্যা'য় সুরে সুরে সেই অমিয় বাণী ঝরালেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী শ্রেয়া গুহঠাকুরতা ও এপার বাংলার যুক্তরাজ্য প্রবাসী শিল্পী নুরুল ইসলাম। প্রতি সুরের বাকে বাকে শিল্পীরা বারবার নিয়ে যাচ্ছিলেন রবীন্দ্র মোহনায়।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের জিয়া অডিটোরিয়ামে এই সংগীত অনুষ্ঠানে সুরের মূর্ছনায় মুগ্ধ হন হাজারও দর্শক। সংগীতায়োজনে যন্ত্রানুসঙ্গে ছিলেন ওপার বাংলার বিখ্যাত কলাকুশলীরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শ্রেয়া গুহঠাকুরতা বলেন, এই দেশেই আমার পূর্বপুরুষের জন্ম। বরিশালেই ছিলা আমাদের আদি নিবাস। যার জন্য আমি ব্যাকুল হয়ে থাকি বাংলাদেশ আসতে। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, আপনারা আমাকে ভালবাসেন, কাছে ডাকেন। মৌলভীবাজারে এর আগেও আমি কয়েকবার এসেছি জায়গাটি আমার খুব পছন্দ।

অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব রঞ্জিত দত্ত জনি জানান, মৌলভীবাজারের সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোকধারা ও সুরেরবেলা'র যৌথ আয়োজনে এই প্রয়াস। রবীন্দ্র অনুরাগীদের জন্যেই মূলত এমন আয়োজন। এই।আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মৌলভীবাজারের মানুষকে রবীন্দ্র মোহনায় আমরা মিলিত করতে পেরেছি।

অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ডা. আব্দুল আহাদ জানান, রবীন্দ্রনাথ চর্চা আমরা কতটুকু করছি? রবীন্দ্রনাথ চর্চা কেন করতে হবে? বা কতটা জরুরী? এর উত্তর অল্প কথায় দেয়া বেশ কঠিন। রবীন্দ্রনাথ বাঙালির পরিচয় নির্মাণের এক মহৎ শিল্পী। বাঙালি সংস্কৃতির যে বিনির্মাণ প্রক্রিয়া হাজার বছর আগে শুরু হয়েছিল রবীন্দ্রনাথই তাকে সফলভাবে একটা রূপরেখা দিলেন। বিশ্বব্যাপী বাংলাকে পরিচিত করেছেন কবিগুরু।

আমরা এখন যে ক্রান্তি কাল অতিক্রম করছে তার থেকে মুক্তির প্রয়োজন, সেটা হলো রবীন্দ্রনাথকে আরও ভালো করে জানা, তাঁকে অন্তরে ঠাঁই দেওয়া, রবীন্দ্র দর্শনে নিজেদের উজ্জীবিত করা৷

প্রতিবছর এমন আয়োজনের প্রচেষ্টা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত