সদরুল আমিন, ছাতক থেকে

১৩ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ২১:২৬

ছাতকে বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব উদযাপন

‘আজি দখিন-দুয়ার খোলা, এসো হে, এসো হে, এসো হে আমার বসন্ত এসো...।’ না, কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ডাকে বসন্ত না আসলে একটু বাড়িয়ে বললে দোষ কি! গণমানুষের কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায়, ‘ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত।’ আবহমান বাংলার প্রকৃতিতে আজ ফাগুনের ছোঁয়া, বকুল বৃক্ষের পাতার ফাঁক দিয়ে যেন উঁকি দিচ্ছে পূবের সূর্য। বলছে ‘আকাশে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা কারা যে ডাকিল পিছে! বসন্ত এসে গেছে।’

মাঘের শীতকে বিদায় জানিয়ে বসন্তের আগমনে ফাগুনের ঝিরিঝিরি হাওয়ার সাথে কোকিলের কুহুতানে যেন মন ভরে যায়। চোখ জুড়িয়ে যায় বাগানের রক্তিম পলাশ, অশোক, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া, কাঞ্চন পারিজাত, মাধবী আর গাঁদার ছোট ছোট ফুলের বর্ণিল রূপে।

ফাগুনের প্রথম দিনে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করতে প্রকৃতি সেজেছে নতুন রূপে। সুনামগঞ্জের ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি অনার্স কলেজে বসন্তকে বরণ করতে ছিলো বর্ণিল আয়োজন।

প্রথমবারের মত এবার পয়লা ফাল্গুন মঙ্গলবার কলেজের রোভার স্কাউট ও গার্লস ইন রোভারের উদ্যোগে কলেজ ক্যাম্পাসে বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব পালিত হয়।

সকালে বসন্তবরণের বর্ণাঢ্য র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য দৈনিক উত্তর পূর্বের নির্বাহী সম্পাদক তাপশ দাশ পুরকায়স্থ, মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন লালা, তৈয়ব আলী, কলেজের অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, উপাধ্যক্ষ মহি উদ্দিন, অধ্যাপক কানন বালা রায়, রবেন্দ্র বিকাশ দে, সুধাংশু কুমার চন্দ, শামছুন্নাহার বেগম, তৈমুছ আলী, শাহ শফিকুল আলম, রতিলাল রায়, রফিকুল ইসলাম, জান্নাতারা খান, নিখিল রঞ্জন, আকবর আলী, আমিন উদ্দিন, বাবুল দে, প্রমুখ।

পরে পিঠা উৎসবে বিভিন্ন ধরণের পিঠা নিয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের ৯ টি স্টল বসে।

কলেজের অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক বলেন, বসন্তবরণ বাঙ্গালীর ইতিহাসে একটি ঐতিহ্যবাহী দিন। তাই আমরা এই দিনটিকে বরণ করার জন্য এই প্রথম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। আগামীতে জাকজমকপূর্ণ ভাবে এই বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসবের দিনটি উদযাপন করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত