হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

১৮ জুন, ২০১৫ ১৬:০৯

বাহুবলে সংঘর্ষের ঘটনায় র‍্যাবের মামলা

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার বড়গাঁওয়ে রশিদ গ্যাস ফিল্ড এলাকায় র‌্যাবের সাথে স্থানীয় ঠিকাদার ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে র‌্যাব। বুধবার রাতে বাহুবল থানায় দায়েরকৃত মামলায় আলাউর রহমান শাহেদসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন র‌্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের এসআই জাহাঙ্গীর। এ ব্যাপারে র‌্যাব-৯ শ্রীমঙ্গর ক্যাম্পের পক্ষে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।

র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ জুন জামায়াতের দেশব্যাপি ডাকা হরতালে হবিগঞ্জের বাহুবল এলাকায় র‌্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কমান্ডার এডিশনাল পুলিশ সুপার মনির হোসেন এর নেতৃত্বে আইন শৃংখলা সমুন্নত রাখার জন্য র‌্যাবের টহল দল পেট্রোল ডিউটি পালন করছিল। সকাল ১০টায় বাহুবল থানার একটি মামলার বাদী সিলেটের মেসার্স আনাস এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ আব্দুল আউয়াল মোবাইল ফোনে র‌্যাবকে জানান, ওই মামলার আসামী চাঁদাবাজ ও শীর্ষ সন্ত্রাসী আলাউর রহমান শাহেদ এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বড়গাঁও রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড এলাকায় আব্দুল আউয়াল ও তার লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ২ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছে। আব্দুল আউয়াল চাঁদা না দেয়ায় আলাউর রহমান শাহেদ দলবল নিয়ে তার লোকজনকে মারপিট শুরু করেছে। এ সংবাদে কোম্পানী কমান্ডার এর নেতৃত্বে র‌্যাব টহল দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারের সুলেমানের ছেলে আলাউর রহমান শাহেদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালায়। এসময় আলাউর রহমান শাহেদ এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা র‌্যাব টহল দলের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে। সরকারী সম্পত্তি ও জান-মাল রক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরা ক্যাম্প কমান্ডার এর আদেশে শর্টগানের ৫ রাউন্ড, গ্যাসগানের ১ রাউন্ড এবং পিস্তলের ৭ রাউন্ড মোট ১৩ রাউন্ড গুলি ফায়ার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আলাউর রহমান শাহেদকে আটক করে। তবে অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। এসময় র‌্যাবের ৩ সদস্য আহত হয়।

আহতদেরকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে এ ব্যাপারে বাহুবল থানায় র‌্যাবের পক্ষে একটি মামলা দায়ের করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আলাউর রহমান শাহেদ একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত চাঁদাবাজ। সে সামান্য ট্রাক শ্রমিক-ড্রাইভার থেকে বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক।

বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই জানান, আলাউর রহমান শাহেদকে র‌্যাব শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছে। তার বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত আব্দুল আউয়ালের দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলা

এ ব্যাপারে বাহুবল থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, বুধবার রাতে সিলেটের মেসার্স আনাস এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ আব্দুল আউয়াল ও র‌্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের এসআই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে আলাউর রহমান শাহেদের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আলাউর রহমান শাহেদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত