লাখাই প্রতিনিধি

১৮ এপ্রিল, ২০১৮ ১৩:৫৬

সড়ক পথে ঢাকা যেতে সময় বাঁচবে ১ ঘণ্টা

এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মুখে অনেক প্রতিকূলতাকে জয় করে হবিগঞ্জের লাখাই ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার শেষ সীমান্তে অবস্থিত বলভদ্র নদীতে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। সে ব্রিজটি ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। এতে করে ঢাকার সঙ্গে সিলেটের সড়ক যোগাযোগ কমে যায় ৩৫ কিলোমিটার।

কিন্তু সড়কের অবস্থা ভাল না থাকায় সেই ব্রিজের সুফল থেকে এতদিন বঞ্চিত ছিলেন ঐ এলাকার মানুষ। এই সড়ক দিয়ে এতদিন শুধু ছোট গাড়িই চলাচল করত।

অবশেষে এবার সেই সুফল থেকে বঞ্চিত হওয়ার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। আঞ্চলিক এই সড়কের হবিগঞ্জ অংশের উন্নয়নে ১৪৬ কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছে।

এ উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন হবিগঞ্জ সদর-লাখাই আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। এতে করে ঢাকা-সিলেট সড়ক যোগাযোগে সময় বাঁচবে ১ ঘণ্টা।

স্থানীয়রা জানান, অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে বলভদ্র নদীর উপর সেতু নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্ব কমিয়ে এনেছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। এবার শুরু হয়েছে রাস্তা উন্নয়নের কাজ। রাস্তাটি ব্যবহার করে হবিগঞ্জ তথা লাখাইবাসী ঢাকা গিয়ে দিনের কাজ দিনে শেষ করে ফিরতে পারবেন। হবিগঞ্জ-লাখাই সড়কে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজসহ এ রাস্তা ব্যবহারে বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপকভাবে এগিয়ে যাবে হবিগঞ্জ-লাখাই।

বলভদ্র নদীর উপর নির্মিত ব্রিজ হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম জানান, হবিগঞ্জ অংশে ২৬.৫ কিলোমিটার সড়কের কাজ হবে। কাজ শেষ হবে ২০২০ সালে। এ কাজে সড়কের প্রস্থ হবে ১৮ মিটার। এ সময় ৪টি ব্রিজও নতুন করে নির্মাণ করা হবে। এই ব্রিজগুলোর সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ১৬২ মিটার।

হবিগঞ্জ অংশের চেয়ে সামান্য কম অর্থাৎ ২৫.১২৮ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ এখনও ওই রাস্তার জন্য কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু এহতেশাম রাশেদ জানান, এখনও প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। এর আগে ১শ’ কোটি টাকার একটি প্রাক্কলন করা হয়েছিল। এখনও যদি স্থানীয় সংসদ সদস্য ডিও লেটার দেন তাহলে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হবে।

হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির বলেন, হবিগঞ্জ-লাখাই’র জনগণের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বলভদ্র সেতু এনে দিয়েছি। এখন রাস্তাও নির্মাণ হচ্ছে। সেতুর স্থান নির্ধারণ নিয়ে এক সময় জটিলতা সৃষ্টি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সেই জটিলতা দূর করে সেতু নির্মাণ হয়েছে। অবশ্যই রাস্তাটি জনগণের ব্যবহারের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশেরও কাজ হবে। এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চাপ কমবে এবং হবিগঞ্জের সঙ্গে ঢাকার সড়ক দূরত্ব হ্রাস পাবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত