নিউজ ডেস্ক

১৫ জানুয়ারি, ২০১৫ ১০:৫৯

সিলেটে জ্বালানি সরবরাহের অভাবে পাম্পে অচলাবস্থা !

২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধের কারণে সিলেটের পাম্পগুলোতে (রিফুয়েলিং স্টেশন) জ্বালানি তেলের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

 বেশিরভাগ পাম্প এখন তেলশূন্য। অনেক পাম্পে বুধবার তেল শেষ হয়ে গেছে।  বৃহস্পতিবারের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে তেল না এলে জেলার ১১৪টি পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে পুলিশি প্রহরায় সিলেটের গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা ও আরপিজিসিএল থেকে প্রায় ৬ লাখ লিটার পেট্রোল এনে পাম্পগুলোতে সরবরাহ করায় পেট্রোল সঙ্কট আপাতত কেটেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

তেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, রাজনৈতিক এই অস্থিতিশীলতার কারণে রেলের ওয়াগনে করে চট্টগ্রাম থেকে ডিজেল ও অকটেন আসা বন্ধ রয়েছে। একইভাবে নিরাপত্তাহীনতায় সিলেটের গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা ও আরপিজিসিএল থেকে পেট্রোল সরবারহ বন্ধ রয়েছে পাম্পগুলোতে। ফলে সিলেটজুড়ে দেখা দিয়েছে তেলের চরম সঙ্কট।

সিলেট জেলায় প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ লিটার ডিজেল ও প্রায় ৪ লাখ লিটার পেট্রোলের চাহিদা রয়েছে। অবরোধের কারণে জ্বালানি তেল পরিবহন ব্যাহত হওয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে ডিজেল ও পেট্রোল শূন্য ছিল সিলেটের পাম্পগুলো। গতকাল মঙ্গলবার কড়া পুলিশী প্রহরায় সিলেটের গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা ও আরপিজিসিএল থেকে প্রায় ৬ লাখ লিটার পেট্রোল এনে পাম্পগুলোতে সরবরাহ করায় পেট্রোল সঙ্কট আপাতত কেটেছে। এই পেট্রোলে আজ বুধবার পর্যন্ত চলবে।

এদিকে পেট্রোল সঙ্কট আপাতত কাটলেও ডিজেল ও অকটেনে হাহাকার চলছেই। চট্টগ্রাম থেকে রেলের ওয়াগন আসা বন্ধ। তাই এক সপ্তাহ ধরে ডিজেল ও প্রায় একমাস ধরে অকটেন নেই কোনো পাম্পে।

সিলেট পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটর এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিভাগীয় সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী  বলেন, ‘সিলেটের ১১৪টি পাম্প ডিজেল ও অকটেল শূন্য। গতকাল মঙ্গলবার সীমিত পরমাণে যে পেট্রোল সরবরাহ করা হয়েছে তা দিয়ে আজ বুধবার পর্যন্ত চলবে।বৃহস্পতিবারের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ডিজেল ও অকটেন না আসলে জ্বালানি তেল সঙ্কটের কারণে সিলেটের সব পাম্প হয়ত বন্ধ হয়ে যাবে। এতে পরিবহন ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত