হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

২০ এপ্রিল, ২০১৮ ২০:১৮

হবিগঞ্জে স্বামীর বাড়ি থেকে দুইসন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শরীফ গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে মিনু বেগম নামে দুই সন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতের স্বজনদের দাবি মিনু বেগমকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করে হত্যা করেছে।

অপর দিকে স্বামীর লোকজনদের দাবি, নিহত মিনু বেগমের মৃগী রোগ ছিল সে কারণে পানিতে ডুবে মারা গেছেন। তবে পুলিশ বলছে ময়না তদন্ত ছাড়া মিনুর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে না।

সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানসী গ্রামের মৃত মরম উল্লাহর কন্যা মিনু বেগম (২৮)কে প্রায় ১০ বছর পূর্বে পাশ্ববর্তী শরীফপুর গ্রামের সৈয়দ আলী ছেলে আহম্মদ আলীর কাছে বিয়ে দেন। তাদের ১কন্যা ও ১পুত্র সন্তান রয়েছে।

মিনু পরিবারের দাবি, ৩ বছর পূর্বে আগুনে পুড়ে শিনুর শরীর জলসে যায়। এরপর স্বামী আহম্মদ আলী তাকে আরেকটি বিয়ে করার অনুমতি দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এতে মিনু রাজি না হওয়ায় তার স্বামী আহম্মদ তাকে প্রায় সময় নির্যাতন করতো। বৃহস্পতিবার বিকেলে মিনু পরিবারের লোকজন সংবাদ পান সে পানিতে পড়ে মারা গেছে। তারা গিয়ে দেখেন স্বামীরা বাড়ির লোকজন তার লাশ দাফনে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। এসময় লাশ দেখে তাদের সন্দেহ হলে দাফন না করার জন্য বাধা দেন।

সারাদিন নিহত মিনুর লাশ বাড়িতে থাকার পর রাত ১২টা দিকে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার দক্ষিণ সার্কেল রবিউল ইসলাম, হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসিনুল হক, এসআই আবু নাঈম নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিনুর লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।

নিহতের বড় ভাই সেলিম মিয়া জানান, ১০ বছর পূর্বে বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকে আহম্মদ আলী তাকে শারারীক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। বুধবার সকালে মিনু আমাদের বাড়িতে এসে জানায়, তাকে আবার মারধর করেছে আহম্মদ আলী। তখন আমরা তাকে স্বান্তনা দিয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ করে আমরা খবর পাই মিনু পানি ডুবে মারা গেছে। আমরা মিনুর শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখি তারা লাশ দাফনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। মিনুর লাশ দেখে ও তার স্বামী, শ্বশুর বাড়ির লোকজদের কথা বার্তায় আমাদের সন্দেহ হয়। পরে আমরা এ বিষয়টি সদর মডেল থানা পুলিশকে অবগত করলেও পুলিশ উদ্ধার করে।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, নিহতের স্বামীর বাড়ি লোকজনের দাবি মিনু মৃগী রোগী আক্রান্ত ছিল। এ কারণে পানিতে পড়ে মারা গেছে। অপর দিকে নিহতের স্বজনদের দাবি করছেন স্বামী আহম্মদ আলী ও স্বজনরা নির্যাতন করে তাকে হত্যা করেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত মিনু বেগমরের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত