নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ এপ্রিল, ২০১৮ ২২:৫১

মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে চরম ডিজেল সংকট

মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে চরম ডিজেল সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় অর্ধেক সরবরাহ থাকায় বিপাকে পড়েছে পেট্রলপাম্প, চা বাগান কর্তপক্ষ এবং কৃষক ।

পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরেও সরবরাহ না থাকায় ক্ষুব্দ এ এলাকার ভোক্তভোগীরা।  ৩ মাস ধরে চাহিদা মত ডিজেল দিতে পারছে না জ্বালানী তেল বিপননকারী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান  পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা।

জানা যায়, নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত এই সময়ে সিলেট বিভাগে ডিজেলে চাহিদা  বেড়ে যায়। আর গত ৩ মাস ধরেই এ জেলার ডিজেল প্রদানকারী প্রতিষ্টান পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ডিপুতে দেখা দিয়েছে ডিজেলের ঘাটতি। চট্টগ্রামস-সিলেট রুটে তেলবাহী ট্রেনের সংকটের কারণে ডিজেল সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
 
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উপজেলার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তেল কোম্পানীর ডিপো থেকে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাম্মনবাড়ীয় কিছু অংশের ডিজেলের চাহিদা পুরণ করা হয়। প্রতি সপ্তাহে চাহিদা প্রায় ৭০ লক্ষ লিটার ডিজেল সেখানে বর্তমানে সপ্তাহে ৩৩ থেকে ৪০ লক্ষ লিটার ডিজেল সরবরাহ করা হচ্ছে। চাহিদার অর্ধেক ডিজেল না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের পেট্টোল পাম্প মালিক, চা বাগান মালিক, ডিজেলচালিত যানবাহনের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং ধান মাড়াইয়ের অপেক্ষায় থাকা বোরো চাষী কৃষকরা।

বর্তমানে প্রতিদিন শ্রীমঙ্গল পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তেল কোম্পানীর ডিপুর সামনে তেলের জন্য লাইন ধরে থাকে বিভিন্ন পেট্টোল পাম্প ও এজেন্টের গাড়িগুলো। কিন্তু সরবরাহ না থাকায় কেউ কেউ তেল না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন মারাই মেশিন, পাওয়ার টিলার ব্যবহারকারী কৃষকসহ চা বাগান কর্তৃপক্ষ।

তেল কোম্পানীর কর্তপক্ষ জানিয়েছে, পর্যাপ্ত ডিজেল মজুদ থাকলেও এ অঞ্চলে তেলবাহী ট্রেনের (রেক) অভাবে সঙ্কট দেখা দিয়েছে । সপ্তাহে দুটি রেকের পরিবর্তে আসে মাত্র একটি রেক। ফলে ৩ মাস ধরে এ সংকট সৃষ্টি হয়।

মৌলভীবাজার পৌর শহরের মেসার্স সাজ্জাদ ফিলিং স্টেশনের সত্ত্বাধিকারী মনোয়ার আহমদ জানান, শুধু মৌলভীবাজার নয় সারা সিলেটেই ডিজেলের সংকট। ডিপো থেকে চাহিদা মত তেল না পাওয়ায় আমরা ব্যবসায়ীক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

ডিজেল ব্যবসায়ী সনজিত দেব জানান, তেল সংকটের মূলে শ্রীমঙ্গলে পর্যাপ্ত ডিজেল না আসা।

এ ব্যপারে মেঘনা ডিপোর ব্যবস্থাপক মো: সাহিদ হোসেন জানান, প্রায় ৭০ লক্ষ লিটার ডিজেলের প্রয়োজন। এর মধ্যে তারা পাচ্ছেন ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ লিটার। মাঝেমাঝে এ জাতীয় সংকট দেখা দিলে তারা সিলেট গ্যাস ফিল্ডের রসিদপুর ও কৈলাশ টিলা এবং ব্রাহ্মন বাড়িয়ার তিতাস গ্যাস এর ব্রাহ্মনবাড়িয়া ডিপো থেকে সংগ্রহ করে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে এসব জায়গা থেকেও তারা চাহিদামতো ডিজেল মিলছে না।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (চট্রগ্রাম) সৈয়দ ফারুক হোসেন জানান, ডিলাররা যেভাবে তেল নিতে চায় আমরা সেভাবেই পরিবহন করি। পরিবহন সংকটের কথা তারা কখনো আমাদের বলেনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত