মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

২৩ এপ্রিল, ২০১৮ ২২:৩৭

২০ বছর পর মৌলভীবাজারে ছাত্রলীগের সম্মেলন

দীর্ঘ ২০ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। সোমবার (২৩ এপ্রিল) মৌলভীবাজার পৌর জনমিলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় বহু আকাঙ্ক্ষিত এই সম্মেলন।

সম্মেলনকে ঘিরে জেলা ছাত্রলীগের উচ্ছ্বাস ছিল তৃনমূলে। কিন্তু কোন কমিটি ঘোষণা ছাড়াই শেষ হয়েছে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। তাই সম্মেলন শেষে কমিটি ঘোষণা করতে না পারায় কিছুটা হতাশ জেলা ছাত্রলীগ। সূত্র জানিয়েছে সম্মেলন জেলাতে হলেও কমিটি আসবে ঢাকা থেকে।

গত ২০ বছর ধরে সম্মেলন বিহীন মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের আজকের সম্মেলনকে ঘিরে অনেক আশা ছিল। কিন্তু কোন কমিটি না দিয়েই ঢাকা চলে গেছেন জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে আসা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। গত ২০ বছর যেভাবে কেন্দ্র থেকে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এবারো তাই হবে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা ছাত্রলীগের একটি বিশ্বস্তসূত্র।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী বলেন, সম্মেলনকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। আশা ছিল একটি সুন্দর কমিটি আমরা সবাই মিলে নির্বাচিত করতে পারব। কিন্তু কমিটি ঘোষণা ছাড়া সম্মেলন শেষ করার আমরা হতাশ হয়েছি।

মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মির্জা আজম এম.পি। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমান ১১ হাজার রাজাকারকে মুক্তি দিয়েছিলেন। এর ধারাবাহিতায় বেগম জিয়াও রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করার কাজ করেছেন।

তিনি আরো বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জন্মসূত্রে পাকিস্তানি নাগরিক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট ছিলেন।



এর আগে সকাল ১১ টার দিকে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দীর্ঘ দুই দশক পর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সম্মেলনে আগত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

উদ্বোধনী বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন বলেন, ছাত্রলীগ যেমন পড়ার টেবিলকে ভালোবাসে, তেমনি মানুষের প্রয়োজনে রাজপথে নেমে আসে। বিএনপি-জামাত ও ছাত্রদল-ছাত্রশিবির’কে মোকাবেলার জন্য রাজপথে থাকবে ছাত্রলীগ।

এমন সময় আরো বক্তব্য প্রদান করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সায়রা মহসিন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমদসহ জেলা ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, আগামী নির্বাচনে মৌলভীবাজারের চারটি আসনে দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে। এবং জেলা ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে যারা আসবেন তাদের নেতৃত্বে সুসংগঠিত হয়ে চলতে হবে।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান রনি জানান, দীর্ঘ ২০ বছর পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়া আমার কমিটির সফলতা।

নতুন কমিটি ঘোষণা করতে না পারাকে ব্যর্থতা বলা যাবেনা, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত সংগে নিয়ে গেছেন। যাচাই বাচাই করে দ্রুত কমিটি ঘোষণা করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত