কামরুল ইসলাম মাহি, জগন্নাথপুর

২০ মে, ২০১৮ ০১:১০

জগন্নাথপুরে অস্থিতিশীল নিত্যপণ্যের বাজার

রমজান মাস শুরু হতেই সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।  উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মতবিনিময় সভা করে যদিও দ্রব্যমুল্য স্থিতিশীল রাখার আহ্বান জানালো হলেও তাতে সাড়া দেননি ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (১৯মে) দুপুরে বাজার ঘুরে চড়া দামে মাছ মাংসসহ বেশিরভাগ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামউ উর্ধমুখী।

ক্রেতারা জানান, শুক্রবার প্রথম রোজায় বাজারে ছিল ক্রেতাদের ঢল। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা চড়া দামে মাছ বিক্রি করেন। সেই সাথে ফার্মের মুরগির দামও লাগামহীনভাবে বেড়ে গেছে। এছাড়াও সবজি বাজারও ছিল চড়া।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, শনিবার যে লাল মুরগি প্রতিকেজি ৩৭৫-৩৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে তা এর আগের দিন (শুক্রবার) বিক্রি হয়েছে ৩১০-৩২০ টাকা দরে। সাদা মুরগি প্রতিকেজি শুক্রবারবিক্রি হয়েছে ১৪৫-১৫০ টাকা দরে। অথচ রোজার দিন বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকা মূল্যে। আর পাকিস্তানি মুরগির কেজি ছিল ২৫০-৩০০ টাকা। বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা।

এছাড়া সবজি বাজারে টমেটো প্রতিকেজি বিক্রি হতো ৫৫টাকা করে কিন্তু তা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা, বেগুন প্রতিকেজি ৬০ টাকা, শশা প্রতিকেজি ৬০-৬৫ টাকা মূল্যে বিক্রি হয়েছে।

বাজার করতে আসা শাহীনুর রহমান জানান, রমজানে বাজারে মানুষের চাহিদা বেশি দেখে বিক্রেতারা সবজিসহ সব জিনিষের দাম বাড়িয়েছেন। এতে করে আমাদের মতো  মধ্য আয়ের মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।

এদিকে মাছ বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি হলেও মাছের তীব্র সংকট রয়েছে।

জগন্নাথপুর বাজার তদারক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিয়া জানান, বাজারে রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যর দাম স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করানো হয়েছে। এছাড়াও সবাইকে অনুরোধ করছি কেউ যাতে অহেতুক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যর দাম বৃদ্ধি না করেন।

জগন্নাথপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সভা করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্থিতিশীল রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। এরপরও অস্বাভাবিক মূল্যে বিক্রি হলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত