গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি

২৪ মে, ২০১৮ ০১:৪৬

গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলনের প্রস্তুতি

জেলা প্রশাসক বরাবর এলাকাবাসীর স্মারকলিপি প্রদান

গোলাপগঞ্জের শরিফগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে ড্রেজারসহ সরঞ্জামাদি এনে রেখেছে একটি চক্র। বালু উত্তোলন না করতে গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর পক্ষে ১১ নং শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মতি লাল বিশ্বাস ও স্থানীয় ইউপি সদস্য জায়দুর রহমান সাক্ষরিত এ স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘ দিন ধরে শরিফগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েক শত ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় গত কয়েক দিন ধরে কাদিপুর, মুসলিমগঞ্জ বাজারের কুশিয়ারা নদীর পশ্চিম তীরে বালুখেকো চক্র বালু উত্তোলন করতে একটি বিশাল ড্রেজার পাইপলাইন সহ স্থাপন করেছে। ভয়ংকর নদীভাঙ্গনের মাঝেও যদি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয় তাহলে নদী তীরবর্তী কাদিপুর, পানিয়াগা, পনাইর চক সহ ৫ টি গ্রাম, একটি স্ট্যান্ড, কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যাবে।

এলাকাবাসী বালু যাতে উত্তোলন না করা হয় এজন্য ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে শরিফগঞ্জ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মতি লাল বিশ্বাস জানান, কয়েকদিন ধরে একটা বালু খেকো চক্র বালু উত্তেলনের জন্য একটি বড় ড্রেজার ও অন্যান্য সরঞ্জাম রেখেছে। ইতিমধ্যে বালু উত্তোলনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে পাইপ। এলাকার অস্তিত্ব রক্ষার্থে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, কুশিয়ারা নদীর থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে পাঠানো হয়েছে। কোন ভাবেই কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে দেয়া হবে না। বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত