জগন্নাথপুর প্রতিনিধি

২৭ মে, ২০১৮ ১৭:০৯

জগন্নাথপুরে সেতুতে ধ্বস, ৫ মাসেও শেষ হয়নি সংস্কার

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর-শিবগঞ্জ-বেগমপুর সড়কের নলজুর সেতুর সংযোগ সড়ক (অ্যাপ্রোচ) ধ্বসে যাওয়ার পাঁচ মাস পার হলেও শেষ হয়নি সংস্কার কাজ।

প্রায় পাঁচ মাস যাবত সড়কে সরাসরি যানবাহন বন্ধ থাকার পর মে মাসের প্রথমদিকে আংশিক সংস্কার শুরু হলেও আবার ধ্বসে পড়ছে সংযোগ সড়কটি।

স্থানীয় বাসিন্দা জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু বলেন, পাঁচ মাস পূর্বে নলজুর সেতুর অ্যাপ্রোচে ধ্বসে যাওয়া স্থান কোনো মতে সংস্কার কাজ করে সরাসরি যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত বছরের ৬ ডিসেম্বর জগন্নাথপুর-শিবগঞ্জ-বেগমপুর সড়কের নলজুর সেতুর পাশের সংযোগ সড়কটি (অ্যাপ্রোচ) ধ্বসে পানিতে পড়ে। ফলে জনসাধারণ চলাচল করতে গিয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হন।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান নলজুর নদীর ওপর ঘোষগাঁও নামক স্থানে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৯.১৫ মিটার গার্ডার সেতুর উদ্বোধন করেন। কিন্তু সংযোগ সড়কের জায়গার পশ্চিম অংশের মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকায় অ্যাপ্রোচের কাজ শেষ হয়নি। বিকল্প অ্যাপ্রোচ ব্যবহার করে যান চলাচল শুরু হয়। এই সড়কটির ওপর দিয়ে উপজেলার রানীগঞ্জ, পাইলগাঁও ও আশারকান্দি এ তিনটি ইউনিয়নের মানুষ উপজেলা সদরে আসা যাওয়া করতে হয়। পাশাপাশি এ সড়ক দিয়ে পার্শ্ববর্তী ওসমানীনগর-বালাগঞ্জের থানা সদরে যাতায়াতের সুবিধা বেশি। একাধিকবার এই স্থানের মাটি ধ্বসে পড়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্থানীয়ভাবে কোন কাজ না করে সংস্কারের নামে নামমাত্র সামান্য কাজ করেছে। সংস্কার কাজ ভালোভাবে না হওয়ায় অ্যাপ্রোচ ধ্বসে পড়ে।

ঘোষগাঁও এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নুরুল ইসলাম বলেন, নলজুর সেতু দিয়ে এখানকার তিনটি ইউনিয়নের মানুষজন উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। অপরদিকে উপজেলা সদরের বাসিন্দারা কম সময়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেগমপুরে যাতায়াত করতে পারেন। স্থানীয়ভাবে কাজ করে জনদুর্ভোগ নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান তিনি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার বলেন, ধ্বসে যাওয়া অ্যাপ্রোচের সংস্কার কাজের টেন্ডার এরই মধ্যে হয়েছে। তারা কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে। তবে আমরা জনসাধারণের কথা চিন্তা করে ভাঙন স্থানে সংস্কার কাজ শুরু করেছি। কাজ করার ফলে এখন যানবাহন চলাচল করছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত