মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

১৩ জুন, ২০১৮ ১৪:২৯

মৌলভীবাজারে আকস্মিক বন্যা

দুই দিনের টানা বৃষ্টি এবং উজানের ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে দ্রুত বাড়ছে মৌলভীবাজারের মনু এবং ধলাই নদীর পানি। নদীর প্রতিরক্ষা বাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে আউশ ফসল, সবজি ক্ষেতসহ ৫টি ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি গ্রাম । পানি বন্দী হাজারো মানুষ। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দুটি নদীর পানি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, মনুনদীর পানি বিপদ সীমার ১৭৫ সে.মি এবং ধলাই নদীর পানি ৫২ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে প্রতিরক্ষা বাধের অন্তত ২০টি এলাকা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ধলাই নদীর কমলগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপুর, সানন্দপুর, কেওয়ালীঘাট, ঘোড়ামারা এবং বাদেওবাহাটা নামক ৫টি স্থানে প্রতিরক্ষা বাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে ৩টি ইউনিয়ন। আকস্মিক বন্যায় ঈদের দুদিন আগে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর, মুন্সিগঞ্জ ও রহিমপুর ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের মানুষ। পানিতে ডুবে গেছে আউশ, সবজি ক্ষেতসহ ঘর বাড়ি।

মুন্সিবাজার ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের কৃষক আকবর মিয়া জানান, উনার প্রায় ৫ একর আউস ফসল ডুবে গেছে। ঈদের দুদিন আগে এমন দুর্যোগে পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

এদিকে জেলার কুলাউড়া উপজেলার শরিফপুর ও টিলাগাও ইউনিয়নে মনু নদীর ভাঙ্গনে প্লাবিত হয়েছে টিলাগাও, বাগাজুরা, তেলগাও চাতলাপুরসহ ৫টি গ্রাম।

কুলাউড়ার হাজীপুরের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু জানান, মনু নদী বিপজ্জনক রূপ নিয়েছে। লাগাতার ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীর পানি বাড়ছে। মাতাবপুর, মাদানগর, চক রণচাপ, হাসিমপুর, বাড়ইগাও ও মন্দিরাসহ ৬/৭ টি এলাকায় নদীর প্রতিরক্ষা বাধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। চকরনচাপ বাড়ইগাও ও মাদানগরে এলাকাবাসী বাধ রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে।

এছাড়া সাধনপুর, কাউকাপন, বাশউরী ও নোয়াগাও এলাকার নদীতীরবর্তী পরিবারগুলোর ঘরবাড়িতে পানি উঠায় তারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। মাতাবপুর, বাড়ইগাও ও তুকলী এলাকায় বাধ গড়িয়ে সমতলে পানি বের হচ্ছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বিপদসীমার উপর দিয়ে মনু এবং ধলাই নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি আরো বাড়বে কারণ উজানের ভারতে বৃষ্টি হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত