নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ জুন, ২০১৮ ০১:১৪

সিলেটে ঈদ আনন্দে বন্যার হানা

আজ ঈদ। সারাদেশের মানুষ আজ মেতে উঠবে ঈদের আনন্দে। তবে সিলেটে ঈদ এসেছে ভিন্ন পরিস্থিতিতে। সিলেটের সবগুলো নদনদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ছে আরো। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক এলাকার মানুষ। এসব এলাকায় ঈদ আনন্দ মলিন হয়ে গেছে বন্যার পানিতে।

বন্যায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মৌলভীবাজারের। মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির শুক্রবারও অবনতি হয়েছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসছে সেনাবাহিনী।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলারও অনেক ইউনিয়ন তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। পানিবন্দি অবস্থায় আছে লক্ষাধিক মানুষ। এদের ঘরেও নেই ঈদের আনন্দ।

বন্যায় শুক্রবারই তলিয়ে গেছে সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের অনেক স্থান। ফলে দূর্ভোগে পড়েছেন এই এলাকার মানুষও।

শুক্রবার সিলেটের কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার নতুন করে আরো অন্তত ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।  সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ৩২৬ সেন্টিমিটার, সিলেটে পয়েন্টে  ২৩০ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার পানি অমলসিদে ৩০০ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে দশমিক ১৮৯ সেন্টিমিটার বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, আজ শনিবার থেকে পানি কমতে পারে।

হঠাৎ করে ঢলের পানি আসায় আকষ্মিক বন্যার কবলে পড়েছে এ দুই উপজেলার আন্তত ২০ হাজার মানুষ। এদিকে পাহাড়ী ঢলে সিলেটের সারি নদীর পানি  ৫০ সেন্টিমিটার বাড়ায় গোয়াইনঘাট ও জৈন্তুাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া প্রবল বৃষ্টিতে সিলেট নগরের নিচু এলাকায়ও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
ঈদের আগমুহুর্তে হঠাৎ বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাটে পানি উঠায় দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।

সুনামগঞ্জের ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে এসব উপজেলার অনেক গ্রাম।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী পার্থ শুক্রবার রাত ১০টায় জানান, আমরা খুব উদ্বিগ্ন, সর্বশেষ (রাত ৯টায়) মনুর পানি চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত