হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

১৯ জুন, ২০১৮ ১৪:০৫

এবার নবীগঞ্জে নদীর বাঁধ ভেঙে ৩৫ গ্রাম প্লাবিত

ফাইল ছবি

পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে ৩৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের দিগীরপাড়, ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ও দীঘলবাক ইউনিয়নের দীঘলবাক, জামারগাঁও, রাধাপুর। ফলে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে ওইসব গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।

বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বসত বাড়ি, বাজার ও রাস্তা-ঘাট। পানিতে পুকুর ও মৎস্য খামার তলিয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। রাস্তা-ঘাট ও বিদ্যালয় তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষা কার্যক্রম। তাছাড়া দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি বন্দি মানুষেরা কোনও ধরনের ত্রাণ সামগ্রী পায়নি। অনেকেই বিস্কুট খেয়ে জীবন-যাপন করছে।

উমরপুর গ্রামের আয়মনা বেগম জানিয়েছেন, বাড়ির ভেতরেসহ চারদিক পানি আর পানি। বাড়ির ভেতরে মাচা বেঁধে থাকছেন তারা। এখন পর্যন্ত তারা সরকারিভাবে কোনও ধরনের সহায়তা পাননি।

একই গ্রামের শরীফুনেছা জানান, গত দুই দিন ধরে খাবার পাচ্ছি না। বিস্কুট খেয়ে দিনপার করতে হচ্ছে।

দীঘলবাক গ্রামের মজিদ মিয়া জানান, রাস্তা-ঘাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ওঠে যাওয়ায় কোনও কাস্টামার দোকানে আসেনি। বেচাকেনা বন্ধ হয়ে গেছে। মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে তাদেরকে।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাওহিদ বিন হাসান বলেছেন, বন্যার কারণে লোকজন পানিবন্দি হওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দীঘলবাক উচ্চ বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। পানি বন্দি পরিবারগুলোকে স্কুলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।    

আপনার মন্তব্য

আলোচিত