১৯ জুন, ২০১৮ ১৯:৫৯
জগন্নাথপুরের সৈয়দপুর নয়াবন্দর হতে কাঠালখাইড় পর্যন্ত দীর্ঘ আইনী জটিলতার অবসান হয়েছে। আগামী মাস থেকেই এই সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, দশ বছর ধরে ভাঙ্গাচোরা অবস্থায় রয়েছে দশ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈয়দপুর-কাঠালখাইড় সড়ক। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই সড়কের যাত্রীদের।
সড়ক সংস্কার নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা থাকায় আটকে ছিলো সংস্কার কাজ। ১৯৯৮ সাল থেকেই এমন করুণ অবস্থায় রয়েছে সড়কটি। ফলে ভাঙ্গা সড়ক দিয়েই প্রতিদিন আসা যাওয়া করতে হতো সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ও আশারকান্দি এই দৃুই ইউনিয়নের ৬০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষকে। সড়কজুড়ে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের কারণে বৃষ্টির দিনে সড়কে পানি জমে থাকে। ফলে দ্বিগুণ সময়েও গন্তব্যে পৌছতে পারেন না যাত্রীরা।
এই সড়ক সংস্কারের জন্য সরকার বার বার টাকা বরাদ্দ দিলেও সড়কটির সংস্কার হচ্ছে না এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, ভবের বাজার-সৈয়দপুর-নয়াবন্দর-কাঠালখাইড় সড়কের ১১ কিলোমিটার অংশ সংস্কারে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকার কাজ পায় যুবলীগ নেতা সজিব রঞ্জন দাসের মালিকানাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
অভিযোগ উঠেছে, সজিব রঞ্জন দাসের ব্যবসায়ীক অংশীদার উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ মাছুম আহমদ কাজ নিয়ে কিছু কাজ করে অধিকাংশ কাজ ফেলে রেখেছেন। ২০১৬ সালের ১০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঐ সময়ে কাজ করতে তারা ব্যর্থ হয়। নিয়মানুযায়ী ৫০০ মিটার ভাঙ্গার পর ৫০০ মিটারের কাজ শেষ করে আরও নতুন ৫০০ মিটার ভাঙ্গার কথা থাকলেও পুরো সড়কের অংশ ভেঙ্গে রেখেছেন তারা।
এনিয়ে আদালতে মামলা হলে আটকে যায় সংস্কার কাজ।
তবে রোববার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সৈয়দপুর-গোয়ালাবাজারের সড়কের হাইকোর্টের মামলায় এলজিইডির পক্ষে রায় এসেছে। তাই কাজ পূণরায় শুরু করা হবে।
এলজিইডি সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইকবাল আহমদ বলেন, আদালতের রায় আমাদের পক্ষে এসেছে। আগামীমাস থেকে এই সড়কের কাজ শুরু হবে।
আপনার মন্তব্য