সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

২০ জুন, ২০১৮ ১৬:৪৩

শাল্লায় স্কুলছাত্রী নিখোঁজ, থানায় ডায়েরি

সুনামগঞ্জের শাল্লায় নিলিমা রাণী দাশ (১৬) নামের এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছে। ১৮ জুন পর্যন্ত ওই ছাত্রীর কোনো খোঁজ খরব না পেয়ে শাল্লা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন ওই ছাত্রীর মা প্রণতী রাণী দাশ। ডায়েরী নং-৬১৮।

জানা যায়, নিখোঁজ ছাত্রী নিলিমা রাণী দাশ (১৬) উপজেলার হবিবপুর ইউপির আনন্দপুর গ্রামের মৃত আশুতোষ দাশের মেয়ে। নিখোঁজ ছাত্রী দিরাই উপজেলাস্থ বাংলাদেশ ফ্যামিলি একাডেমি থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। ১৫ জুন শুক্রবার দিরাইস্থ ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুনরায় পরীক্ষার প্রস্তুতির কথা বলে বাড়ি থেকে যায় কিন্তু আর বাড়ি ফিরে আসেনি এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও পাওয়া যায় না তাকে। এদিকে মেয়ের কোনো সন্ধান না পেয়ে কেঁদে অস্থির হয়ে উঠেছেন তাঁর মা। ৫ দিন যাবত অনাহারে দিনাতিপাত করছেন তাঁর হতদরিদ্র মা।

এ ব্যাপারে ছাত্রীর মা প্রণতী রাণী দাশ বলেন, একই গ্রামের গোপাল রায় ওই মেয়েকে শুক্রবার অধ্যক্ষের ফোনের কথা বলে দিরাই উপজেলার মিলনবাজারে নিয়ে যায়। গোপাল রায় মেয়ের মা'কে জানান ম্যাডাম বলেছে স্কুলে যাওয়ার জন্য। ১৫ জুন শুক্রবার গোপাল রায় ফোনে বারবার যোগাযোগ করে মেয়েকে দিরাই যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন। আমার মেয়ে নিলিমার সাথে আমি দিরাই যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু গোপাল রায় আমাদের দিরাই যেতে নিষেধ করে। গোপাল রায়ের কথা বিশ্বাস করে মেয়েকে দিরাইস্থ বাংলাদেশ ফ্যামিলি একাডেমিতে পাঠান তাঁর মা। এরপর থেকেই মেয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি।

এ ব্যাপারে গোপাল রায় বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। ওই স্কুলের শিক্ষকরা আমার কাছ থেকে ওই মেয়ের খোঁজখবর নিতেন।

বাংলাদেশ ফ্যামিলি একাডেমির অধ্যক্ষ নাজমা বেগমের সাথে ২০ জুন মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, স্কুল তো এখন বন্ধ রয়েছে। আর পরীক্ষার ফরম ফিলাপ তো আরও অনেক দেরিতে। আমি ওই মেয়েকে স্কুলে আসতে ফোন করিনি।

তিনি আরও বলেন, মেয়েটি বিয়ের উপযুক্ত নয়। কারণ তার বয়স মাত্র ১৬ বছর।

শাল্লা থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সোহেল মাহমুদ বলেন, নিখোঁজ ডায়েরির বার্তা পাঠানো হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নাবালিকা মেয়েকে ফিরে পেতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আকুতি জানান ১৬ বছর বয়সী নিলিমার বিধবা মা প্রণতী রাণী দাশ।



আপনার মন্তব্য

আলোচিত