কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

২১ জুন, ২০১৮ ২০:৩৭

চাতলাপুর সীমান্তে সড়ক ক্ষতবিক্ষত, ৮দিন ধরে আমদানি রপ্তানি বন্ধ

সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় মৌলভীবাজারের চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়কের ৫ কিলোমিটার সড়ক ভেঙ্গে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। পাকা সড়কের আমতলা হতে চাতলা চেকপোস্ট পর্যন্ত ১০টি জায়গায় বড় বড় গর্ত ও ইটপাথর ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে গত ৮দিন ধরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। যানচলাচলের অনুপযোগীও হয়ে পড়েছে সড়কটি। এতে করে এই সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করা ভারত-বাংলাদেশের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ জুন) দুপুরে সরেজমিনে এলাকা ঘুরে এই ভয়াবহ চিত্র দেখা যায়।

গত ১২ জুন দিবাগত রাত আড়াইটায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে মনু নদের ৪টি স্থানের প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে প্রবেশ করা ঢলের পানিতে সঞ্জবপুর এলাকা থেকে চাতলাপুর চেকপোস্ট পর্যন্ত ৬ কি.মি. সড়ক ৪ ফুট পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত ছিল।

তেলিবিল ও বাঘজুর গ্রামে মনু প্রতিরক্ষা বাঁধের দুটি ভাঙ্গন দিয়ে পানি দ্রুত গতিতে প্রবেশ করে  ভেসে যায়। অনেক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এ সড়কের কমপক্ষে ১৫টি স্থানের পিচ উঠে যায়। কালভার্ট ভেঙ্গে ও সড়কের অবস্থাও নাজুক হয়ে পড়ে। বিশেষ করে আমতলা থেকে চাতলাপুর চেকপোস্ট পর্যন্ত ৫ কি:মি: সড়কের ১০টি স্থানের অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়ে। এ সড়কে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেটেও চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না। মানুষজন পড়েছেন দুর্ভোগে। একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো হয়ে পড়েছে কুলাউড়া উপজেলার এ শরিফপুর ইউনিয়ন।

চাতলাপুর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা এসআই জামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, প্রতিদিন গড়ে শতাধিক যাত্রী ভারত-বাংলায় যাতায়াত করে। বন্যার পর গত ১৩ জুন থেকে এ পথে কোন যাত্রী যাতায়াত করতে পারেনি। এখন সড়ক থেকে পানি নেমে গেলেও যারা পায়ে হেটে আসতে পারছেন তারাই ভারত-বাংলায় যাতায়াত করছেন।

দ্রুত ক্ষত বিক্ষত সড়কটি সংস্কার করে কমপক্ষে ছোট যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা না করলে এ পথে দুই দেশে যাতায়াত প্রায় বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ, মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ বলেন, চাতলাপুর সড়কটির ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করা হচ্ছে। দ্রুত প্রকল্প গ্রহণ করে এ সড়কের সংস্কার কাজ করার প্রচেষ্টা চলছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত