নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ জুন, ২০১৮ ১৫:১৭

ধূমপানে বাধা দেওয়ায় শিবগঞ্জে স্কুলছাত্র খুন

ঈদুল ফিতরের রাতে সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ এলাকায় সিগারেট খেতে বাধা দেয়ার কারণে খুন করা হয় স্কুলছাত্র মশিউর রহমান তাসিনকে। আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্যই জানিয়েছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৪ কিশোর।

বুধবার (২০ জুন) শাহপরান থানা পুলিশ পৃথক পৃথক অভিযানে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৪ কিশোরকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে ৩ জনকে সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে এবং অপর একজনকে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতে নেয়া হলে তারা হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। কি কারণে এবং কিভাবে তাসিনকে খুন করা হয় সেসব বিষয় উঠে আসে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে।

তাদের দেওয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ঈদুল ফিতরের রাতে শিবগঞ্জ সাদিপুর রাস্তার মুখে হেয়ার গেইম সেলুনের সামনে মশিউর রহমান তাসিন তার বন্ধু রাফাত আহমেদ সানি, ফাহিম, মিনহাজ, রাহী, রায়হান এবং এলাকার বড় ভাই সুমন ও সাক্কুসহ ঈদ উপলক্ষে আড্ডা দিচ্ছিল। তখন নাইমুর রহমান রাব্বি (১৮), নিহাদ আহমদ উরফে লিহাদ আহমদ (১৮), মো. রফিক (১৮) ও মো. রাহি (২০) হেয়ার গেইম সেলুনের পাশের পান দোকান থেকে সিগারেট নেয়। সেসময় দোকানের সামনেই তারা ধূমপান করতে থাকে।
বিষয়টিকে বেয়াদবি হয়েছে ভেবে মশিউর রহমান তাসিনসহ তার বন্ধুরা বাঁধা দেয়। কিন্তু আসামীগণ ও অন্যরা তাসিন ও তার বন্ধুদের বাঁধা না শুনে বিদ্রূপ আচরণ করে। এসময় মিশিউর রহমান তাসিন ও তার বন্ধুরা এজাহার নামীয় আসামী রবিন ও তার সহযোগীদের মারধর করে চড়-থাপ্পড় মেরে বিদায় করে দেয়।

এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আসামীগণসহ অপরাপর আসামীরা শিবগঞ্জ মিতালী ফার্মেসীর সামনে চায়ের দোকানে উৎপেতে থাকে। শিবগঞ্জ সাদীপুর রাস্তার মুখের আড্ডা শেষে মশিউর রহমান তাসিন তার বন্ধু ফাহিম ও রাফাত আহমদ সানিসহ হেটে হেটে শিবগঞ্জ সোনারপাড়া বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ১৬ জুন রাত ১০ টায় শিবগঞ্জ মিতালী ফার্মেসীর উল্টো পার্শ্বে বাইতুল জান্নাত জামে মসজিদের সংলগ্ন পৌছলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা বর্ণিত আসামীগণসহ অপরাপর আসামীরা মশিউর রহমান তাসিনের পথ রোধ করে তার গালে, গলায় এবং উরুতে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়।

মশিউর রহমান তাসিনের বন্ধু রাফাত আহমদ সানি ও ফাহিম সিএনজিতে করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মশিউর রহমান তাসিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়। এদের মধ্যে আসামী মো. রফিক (১৮) ও মো. রাহি (২০) উক্ত ঘটনায় নিজেদের জড়িত করে অন্যান্য আসামীদের নাম প্রকাশ করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত