মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

২৪ জুন, ২০১৮ ১৫:৪৩

চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে

বিপুল উৎসাহ আর আগ্রহের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে গত কয়দিনের নির্বাচনী প্রচারনা। আজ বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন। এ নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে মৌলভীবাজারের চা বাগান এলাকা। গত ১০ জুন প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধের পর থেকে প্রতীক নিয়ে পুরোদমে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। বাগানে বাগানে ঘুরে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

আজ (রোববার) সকাল ৮টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রতিটি চা বাগানে গোপন ব্যালেটে ভোট গ্রহণ ও গণনার মাধ্যমে পঞ্চায়েত কমিটি, প্রাথমিক কার্যকরী পরিষদ, ভ্যালী কার্যকরী পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে দেশের ২০টি উপজেলার ২২৮টি চা বাগান ও ফাড়ি বাগানের মোট ৯৮ হাজার ৭৫২ জন চা শ্রমিক ভোটাধিকার প্রয়েগ করবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবারের নির্বাচনে চা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও সংগ্রাম কমিটি সমর্থীত দুটি প্যানেলের পাশাপাশি মহাসংগ্রাম কমিটি নামে আরেকটি পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের চলমান চা শ্রমিক সংগ্রাম কমিটি মাখনলাল কর্মকার, জেসমিন আক্তার, পংকজ কন্দ ও বৈশিষ্ট তাঁতীকে নিয়ে গঠিত তাদের সভাপতিমন্ডলী প্যানেলের প্রতীক পেয়েছেন দোয়াত কলম। সম্পাদকমন্ডলীর প্যানেলে রামভজন কৈরী, নিপেন পাল, রেখা বাক্তি ও পরেশ কালিন্দি প্রতীক পেয়েছেন ফুটবল। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে চা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতিমন্ডলীর প্যানেলে বিজয় বুনার্জি, শোভা গোয়ালা, মো. সেলিম আহমদ ও রাজেশ নুনিয়া ছাতা প্রতীকে এবং সাধারণ সম্পাদকের প্যানেলে সিতারাম অলমিক, সুনিল কুমার মৃধা, সনকা তাঁতী ও দুলন কর্মকার দুলু চেয়ার প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উল্লেখ্য, চা শ্রমিকদের স্বার্থ, অধিকার এবং চাকুরী সংক্রান্ত বিবিধ বিষয়গুলো দেখার জন্য বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠত হয়। সেই থেকে প্রতি ৩ বছর অন্তর অন্তর সংগঠটির কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত