ছাতক প্রতিনিধি

১০ জুলাই, ২০১৮ ২৩:৪৭

দোয়ারাবাজারে মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর ও পাঠাগারের উদ্বোধন

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর ও পাঠাগারের উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জুলাই) দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সম্মেলন কক্ষে ‘ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাবনা, সমস্যা ও সমাধান’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম। এসময় তিনি ইউনিয়ন অফিসের সামনে বৃক্ষ রোপণ করেন।

মো. সাবিরুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, সরকার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তৃণমূলে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত করছেন। উন্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণসহ সকল ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় সরকার অবকাঠামোকে আরো গতিশীল ও শক্তিশালী করতে সকলকে আন্তরিক ভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বোগলাবাজার হতে সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত সড়ক সংস্কার করা হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ গুলো শীঘ্রই সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জুয়েলের সভাপতিত্বে ইউপি সচিব এ কে এম রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মহুয়া মমতাজ, সহকারী কমিশনার মনজুর আলম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,দোয়ারাবাজার সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল বারী, মান্নারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা আজিজ, বোগলা রোছমত আলী রামসুন্দর স্কুল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল, গভর্নিংবডির সভাপতি মো. মিলন খান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সফর আলী, বোগলাবাজার ইউনিয়ন কমান্ডার আব্দুল কাদির, ময়না মিয়া তালুকদার, ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন, আকবর আলী, মনিরুজ্জামান নান্টু, আব্দুল ওয়াদুদ ভুঁইয়া প্রমুখ।

এদিকে বোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মো. আরিফুল ইসলাম জুয়েলের সভাপতিত্বে ও ইউপি সচিব এ কে এম রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা নিজের জীবন বাজী রেখে এই দেশকে স্বাধীন করেছিল সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে ও নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে প্রতিটি ইউনিয়নে জাদুঘর ও লাইব্রেরী স্থাপন করা প্রয়োজন।

তিনি সুনামগঞ্জ জেলাকে মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতির উর্বর ভূমি হিসাবে আখ্যায়িত করে জাদুঘরকে প্রাণবন্ত করে গড়ে তুলতে মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষের সকলকে আহ্বান জানান।

এছাড়াও তিনি জাদুঘর ও লাইব্রেরীতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বই, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কের ছবি, ৭ বীর শ্রেষ্ঠের ছবি, বোগলাবাজার ইউনিয়নের শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগনের ছবি, তাদের ব্যবহৃত কিছু জিনিস ও কাপড় সংরক্ষণ করার আহবান জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত