নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ জুলাই, ২০১৮ ০২:১৬

ওসমানীনগরে সৌদি প্রবাসী মাসুক হত্যায় জড়িত তিন সহোদর

সিলেটের ওসমানীনগরে সৌদি আরব প্রবাসী মাসুক মিয়াকে তার সহোদর ভাইয়েরাই হত্যা করেছে। আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে তারা এ তথ্য স্বীকার করেছে। সিলেট জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ১৩ জুন ওসমানীনগরের গ্রামতলা-দাসপাড়া এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি ওসমানীনগর থানার ফতেপুর গুপ্তপাড়া গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর পুত্র শেখ মাসুক মিয়া (৪৫)। এ ঘটনায় মৃত শেখ মাসুক মিয়ার সহোদর আলফু মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত চলাকালে প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে এ ঘটনার সাথে ভিকটিমের সহোদর এবং মামলার বাদী শেখ মো: আলফু মিয়া (৩৫), অপর সহোদর শেখ মো: পংকি মিয়া (৩৭), ও শেখ মো: তোঁতা মিয়া (৫০) জড়িত। পুলিশ তাদেররেকে গ্রেফতার করে। গত ১৫ জুলাই তারা এ ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। জবানবন্দী গ্রহণের পর তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

জবানবন্দীতে তারা জানায়, সহোদর ভাইকে পূর্বপরিকল্পনা মাফিক নৃসংশভাবে হত্যা করে নিজেদের হত্যার ঘটনা হতে আড়াল করার জন্য শোকের অভিনয় করে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে মিথ্যা মামলা সৃজন করে।

জবানবন্দীতে আসামীরা জানায়, ভিকটিম মাসুক মিয়া দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। মাসুক মিয়া তার পরিবারের সব খরচ বহন করতেন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার টাকায় ভাইয়েরা ৭৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ভিকটিম বিগত ২ বছর আগে দেশে এসে বিয়ে করেন। দেশে এসে জানতে পারেন তার ভাইয়েরা তাকে না জানিয়ে জমিটি বিক্রি করে ফেলেছে। এতে করে মাসুক মিয়া প্রচন্ড রাগান্বিত হয়ে পরিবারের খরচ বহন করা বন্ধ করে দেয় এবং বিদেশে যাবে না বলে পাসপোর্ট ছিড়ে ফেলে। জায়গা বিক্রয় করার কারণে মৃত মাসুক মিয়া ভাইদের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে মামলা করেন। মামলার রায় হলে আইনগতভাবে সম্পূর্ণ জমি সে নিজেই পাবে। এসব বিষয় নিয়ে মাসুক মিয়ার ভাইয়েরা মাসুক মিয়ার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরবর্তীতে পরিকল্পনা মাফিক হত্যাকান্ডটি সংঘটিত করে। এ ঘটনায় অপর দুই ব্যক্তি পংকি মিয়া ও তোতা মিয়ার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত