শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

১৮ জুলাই, ২০১৮ ১৮:০৩

শ্রীমঙ্গলে ধরা পড়ল দুর্লভ 'বিচিত্ররঙা উড়ন্ত কাঠবিড়ালি'

কাঠবিড়ালি নামের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। কিন্তু  ‘বিচিত্ররঙা উড়ন্ত কাঠবিড়ালি’ এর সাথে আমরা খুব একটা পরিচিত নই। এটি দুর্লভ এবং বিপন্ন প্রজাতির একটি কাঠবিড়ালির জাত। এরা এক লাফে ২০০ ফুট দূরত্বে যেতে পারে।

এমনই বিরল প্রজাতির একটি কাঠবিড়ালির বাচ্চাকে অসুস্থ অবস্থায় বুধবার (১৮ জুলাই) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হলে এটিকে লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করা হবে।

বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, বিপন্ন ও বিরল এই প্রাণীকে কেউ কেউ ‘উড়ুক্কু কাঠবিড়ালি’ কেউবা ‘উড়ন্ত কাঠবিড়ালি’ বলে থাকেন। এদের দেহ মাথাসহ দৈর্ঘ্য ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার এবং লেজ ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। কান তুলনামূলকভাবে বড়, চ্যাপ্টা লেজ, দেহের পার্শ্বে কালচে-বাদামি এবং নিচের অংশ সাদা। লেজ ধূসর থেকে ধূসর বাদামি, লেজের গোড়া ফ্যাকাসে, আগা গাঢ় রঙের। পা গাঢ় বাদামি।

উড়ন্ত কাঠবিড়ালি সম্পর্কে বন্যপ্রাণী সেবক ও সংরক্ষক তানিয়া খান জানান, গাছে এদের বসবাস। গাছে খায় গাছেই ঘুমায়। দিনের বেলা চলাচল করে না, এরা নিশাচর। মাটিতে তেমন নামে না। গাছের ফল, বিভিন্ন গাছের আঠালো রস, শিকড়, কুঁড়ি, পাতা ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে। মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া, কুরমা বনবিটে এদের দেখা যায়। বিচিত্ররঙা উড়ন্ত কাঠবিড়ালি এক গাছ থেকে অন্য গাছে ১৫০ থেকে ২০০ ফুট দূরত্বে লাফাতে পারে। এর ইংরেজি নাম ‘Particolored Flying Squirrel’ এবং বৈজ্ঞানিক নাম ‘Hylopetes alboniger’।

শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব জানান, কাজল হাজরা নামের এক যুবক গত ১৪ জুলাই অসুস্থ অবস্থায় এই প্রাণীটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে দুধ, পানি, ফল খাইয়ে কয়েক দিন রেখে কিছুটা সুস্থ করে আজ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের কাছে দিয়েছে। সুস্থ হলেই প্রাণীটি অবমুক্ত করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত