শুভ ধর

১৯ জুলাই, ২০১৮ ০০:৩০

এবার ভোট কারচুপি রোধে সিলেটে ইভিএম চায় বিএনপি

নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছে আসছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সাম্প্রতিক সকল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে আপত্তি জানিয়েছিল দলটি। তবে কেন্দ্রের ঠিক বিপরীত অবস্থান নিয়েছে সিলেট বিএনপি।  আপত্তি রয়েছে। সিলেট সিটি নির্বাচনের ২০ নং ওয়ার্ডে ইভিএম ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

বুধবার সিটি নির্বাচনের রিটার্নীং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে ২০ নং ওয়ার্ডের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিলেটের নেতারা।

ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট কারচুপি হতে পারে বলে বরাবরই অভিযোগ করছে বিএনপি। কিন্তু সিলেট বিএনপি বলছে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হলে ভোট কারচুপি হবে না।

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে বুধবার সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান বরাবর ইভিএম ব্যবহারের জন্য লিখিত প্রস্তাবনা দেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ।

প্রস্তাবনায় বলা হয়, সিলেটের ২০নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আজাদুর রহমান আজাদ। আর তাই এই ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এবং মেয়র পদের জন্যই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আর এই কারণেই সিসিকের ২০নং ওয়ার্ডে ভোট কারচুপি ও নানা অনিয়ম হতে পারে বলে আশংকা করছে বিএনপি। আর এ থেকে উত্তরণের জন্য ইভিএম পদ্ধতিতেই আস্থা রাখছে সিলেট বিএনপি। তাছাড়া এই ওয়ার্ডের সবকটি কেন্দ্রেই ইভিএম চায় দলটি।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ সিলেটটুডে টোয়ান্টিফোরকে বলে, আমাদের কোন প্রস্তাবনাই তো রাখা হচ্ছে না। আমারা চেয়েছিলাম নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হোক, শক্তিশালি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক। এর কোন কিছুই রাখা হয়নি। তবুও এই ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে আমরা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের জন্য আবেদন করেছি।

তবে কি ইভিএম ব্যবহারে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে বলেই মনে করছে বিএনপি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার পক্ষ থেকে যখন বার বার বলা হচ্ছে ইভিএম ব্যবহারে সুষ্ঠ নির্বাচন হয় তবে আমরাও দেখি এতে সুষ্ট হয় কি না। যেহেতু সিলেটের দুটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে তাহলে ২০নং ওয়ার্ডেও ইভিএম দেওয়া হোক।

যদি উনাদের দাবি অনুযায়ী ইভিএম পদ্ধতিতে সুষ্ট নির্বাচন হয় তবে তো এই ওয়ার্ডে ইভিএম দিতে তাদের আপত্তি থাকার কথা নয় বলেও মন্তব্য করেন আলী আহমেদ।

তিনি আরো বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে এই ওয়ার্ডের নির্বাচনে আস্থা অনাস্থার বিষয় নয়। দেখা যাক কি হয়। যেহেতু ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই ওয়ার্ডে পুরুষ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে গেছেন সেহেতু এই ওয়ার্ডটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এই বিবেচনাতেই আমরা ইভিএম চাচ্ছি।

সিসিকের ২০নং ওয়ার্ডে মোট কেন্দ্র আছে ৫টি। এই ৫ কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ১০৬৫৪ জন।

এবারের সিসিক নির্বাচনে মাত্র ২টি কেন্দ্রেই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৪নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত কেন্দ্র দুটি হচ্ছে- আম্বরখানা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ ও আম্বরখানা সরকারি কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই দুই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৪১৬৯ জন।

এব্যাপারে সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশন সিসিকের ৪নং ওয়ার্ডে আম্বরখানা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অ্যান্ড কলেজে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারণ করেছে। তবে আরিফুলের দাবির বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত