নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ আগস্ট, ২০১৮ ১৯:২৪

নিজেকে বিজয়ী ঘোষণার দাবিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আরিফ

স্থগিত থাকা দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের আগেই তাকে বিজয়ী ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন সিলেট সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। বুধবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামানের কার্যালয়ে হাজির হয়ে লিখিতভাবে এ দাবি জানান তিনি।

গত ৩০ জুলাই অনুষ্ঠি সিলেট সিটি নির্বাচনের ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ২টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। স্থগিত হওয়া গাজী বুরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হবিনন্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১১ আগস্ট পুণরায় ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

এই ভোটগ্রহণের ৩ দিন আগে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে ওই দুই কেন্দ্রের মৃত ও প্রবাসী ভোটারদের তালিকা জমা দেন আরিফ। মৃত ও প্রবাসী ভোটররা ১১ তারিখে ভোটকেন্দ্রে হাজির হতে পারবেন না উল্লেখ করে এসময় আরিফ বলেন, তাঁরা অনুপস্থিত থাকলে নির্বাচন ছাড়াই আমি জয়ী হয়ে যাই। ফলে ভোটের আগেই নিজেকে বিজয়ী ঘোষণার দাবি জানান আরিফ।

৩০ জুলাই ১৩২টি কেন্দ্রের ভোট গণনায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর প্রাপ্ত ভোট ৯০ হাজার ৪৯৬। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পান ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট। ফলে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর চেয়ে ৪ হাজার ৬২৬ ভোটে এগিয়ে আছেন। আর স্থগিত দুই কেন্দ্রে ভোট সংখ্যা ৪ হাজার ৭৮৭।

তবে নির্বাচনের আগেই কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করার আইন নেই বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান। ভোটার তালিকা নিয়ে কথা বলাও তাঁর এখতিয়ার বর্হিভূত বলে জানান আলীমুজ্জামান।

বুধবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বিগত ৩০ জুলাইয়ের নির্বাচনে অনেক মৃত ভোটাররাও ভোট প্রদান করেছেন। আগামী ১১ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য স্থগিত কেন্দ্রসমূহে যেন কোন মৃত ভোটার ভোট না দেন। আমরা নির্বাচন কমিশনকে সেই তালিকা দিতে এসেছি। দু’টি ওয়ার্ডের দু’টি কেন্দ্রের তিন শতাধিক ভোটারের নাম ও ভোটার নাম্বার এই তালিকাতে রয়েছে।

এসময় তিনি দু’টি ভোটকেন্দ্রের প্রবাসে থাকা ও মৃত ভোটারদের নাম ও ভোটার নাম্বার সংযুক্ত করে একটি আবেদন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেন।

আরিফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, সিসিকের স্থগিত হওয়া গাজী বুরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২২২১ ভোটারের মধ্যে মারা গেছেন ৮০ জন ও বিদেশে আছেন ৮০ জন।  অন্যদিকে স্থগিত হওয়া হবিনন্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের মোট ভোটার সখ্যা ২৫৬৬। এর মধ্যে মারা গেছেন, ৮০ জন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আছেন ৮০ জন। ওয়ার্ড ছেড়ে চলে গেছেন অন্তত আরো ২৫/৩০জন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত