বানিয়াচং প্রতিনিধি

১৪ আগস্ট, ২০১৮ ১৭:৪২

শিক্ষা কর্মকর্তা এক উপজেলায় ১৫ বছর!

সরকারি বিধান হচ্ছে একই কর্মস্থলে কোনো কর্মকর্তা তিন বছরের বেশি থাকতে পারবেন না। তবে এর উল্টোটা ঘটেছে বানিয়াচং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাওছার শোকরানার ক্ষেত্রে। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত এই পদে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাওছার শোকরানা ২০০৩ সালের আগস্টে বানিয়াচং উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। দীর্ঘদিন ধরে একই অফিসের কর্মরত থাকার সুবাদে তিনি এখন ওই অফিসের বড় কর্তা! নিজেকে বেশ দাপটের সাথে পরিচয় দিয়ে চাকরি করছেন ওই কর্মকর্তা।

কাওছার শোকরানা মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। ছাত্রজীবনে তিনি সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ পদেও।

জানা যায়, সরকারি চাকরিবিধি ও সর্বশেষ মন্ত্রিপরিষদের পরিপত্র অনুযায়ী একই কর্মস্থলে ৩ বছরের অধিক কর্মরত থাকার কোনো নিয়ম নাই। সরকারি আইন অমান্য করেন এই গুরুত্বপূর্ণ অফিসে কিভাবে ১৫ বছর ধরে কর্মরত আছেন তিনি বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বেশ কয়েকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশে ওই কর্মকর্তা বদলি হলেও সেটা কার্যকর হয়নি। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও প্রশ্ন রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এডভোকেট আসাদুজ্জামান খান তুহিন বলেন, যতটুকু জানি ৩ বছরই হলেই কোনো কর্মকর্তাকে তার কর্মস্থল থেকে বদলি করা হয়। তবে ১৫ বছর ধরে ওই কর্মকর্তা জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সরকারি অফিসে কিভাবে কর্মরত থাকতে পারেন সেটিই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার পিছনে কে আছে তা জানা দরকার। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান এ আইনজীবী।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা কাওছার শোকরানার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জেনে 'পরে কথা বলি' বলেই তড়িঘড়ি করে ফোনের লাইন কেটে দেন।

এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন খন্দকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সরকারি বিধি মোতাবেক কর্মস্থলে ৩ বছর হলেই তাকে অন্যত্র বদলির নিয়ম আছে। তবে উনি কী কারণে বা কিভাবে এতদিন ধরে এই পদে কর্মরত আছেন তা কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে। এর চেয়ে বেশি আমি জানি না।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত