নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ আগস্ট, ২০১৮ ১৭:৪৯

নগরীতে ৩৬ স্থানে কোরবানির পশু জবাই করা যাবে

ফাইল ছবি

যত্রতত্র কোরবানির পশু জবাই করার বদলে এবার নির্দিষ্ট স্থানেই পশু কোরবানি করতে হবে বলে জানিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) সকালে নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং এ বিষয়ে জনগণকে উৎসাহিত করতে সিলেট সিটি করপোরেশন ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

নগরীর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান। প্রকৌশলী আলী আকবরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয় আসন্ন ঈদুল আজহায় সিলেট মহানগরীর নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি করতে হবে। এ লক্ষে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ৩৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি করতে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে লিফলেট ও বিভিন্নভাবে প্রচারণাও শুরু করেছে সিসিক।

সিলেট সিটি করপোরেশন জানায়, পশু কোরবানি দেয়ার জন্য গত কয়েক বছর ধরে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭টি স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও এ বছর আরও ৯টি স্থান বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, নগরীতে যত্রতত্র পশু কোরবানি দেওয়া হলে নগরী অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে করে দ্রুততার সাথে কোরবানির বর্জ্য পরিস্কার সম্ভব হয়ে ওঠে না। এসব বিষয় বিবেচনা করে সরকারি নির্দেশনার আলোকে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট সিটি করপোরেশন। আর এর প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছেন মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনগন। সভায় নগরীর পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের বয়ান পেশের মাধ্যমে এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখার আহবান জানান তিনি। এছাড়া সিসিকের প্রত্যেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণার ব্যাপারে ভূমিকা রাখছেন।

সিসিকের সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব বিশ্বাস জানান, ঈদের দিন সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কোরবানির নির্দিষ্ট স্থানে সামিয়ানা টানিয়ে দেওয়া হবে। কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য থাকবে অভিজ্ঞ কসাই। যারা কোরবানি দেবেন, তারা সামিয়ানার নিচে বসে নিজেদের পশু জবাই এবং জবাই পরবর্তী মাংস কাটার প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করতে পারবেন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, কনজারভেন্সি কর্মকর্তা হানিফুর রহমান ও সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব বিশ্বাস পবিত্র ঈদুল আজহার দিন এ বিষয়টি সার্বিক তদারকি করবেন।

মতবিনিময় সভায় সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহেদুল ইসলাম সুমন, প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ ও নগরীর বিভিন্ন মসজিদের প্রায় দুই শতাধিক ইমাম ও মোয়াজ্জিন উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত