সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ আগস্ট, ২০১৮ ০১:০৭

ঈদের ছুটিতে সুনামগঞ্জ ফিরছিলেন তারা ১১ জন

ঈদের ছুটিতে লেগুনায় করে সুনামগঞ্জে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন তারা। কথা ছিলো বাড়িতেই সবার সাথে ঈদ কাটাবেন। বাড়ি আর ফেরা হলো না তাদের। সোমবার রাতে নরসিংদীতে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন চালকসহ তারা ১১ জন।

এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১ জন যাত্রী। সোমবার রাত ৯টার দিকে নরসিংদী ও ভৈরব সীমান্তবর্তী এলাকা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেলাব উপজেলার দড়িকান্দি নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের ভৈরব ও নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সুনামগঞ্জের আবুল হোসেন (৩০), আবদুল মিয়া (২৪), মোবারক মিয়া (১৮), সুজন মিয়া (২২) ও তার স্ত্রী রাহেলা বেগম (২০)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মহাসড়কের দড়িকান্দি বাসস্ট্যন্ড এলাকায় ঢাকাগামী বস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সুনামগঞ্জগামী একটি রিজার্ভ লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনাটি ধুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই লেগুনার আট যাত্রী নিহত হন। আহত হয় অন্তত ১০ জন।

আহতদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ভৈরব ও নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ভৈরব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়। নরসিংদী জেলা হাসপাতালে আনার পর মারা যান একজন।

দুর্ঘটনার পরপর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। একইসঙ্গে আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

এদিকে দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মহাসড়ক থেকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈফিকুর ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালকসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। তবে যাত্রীবাহী বাসের চালক পালিয়ে গেছেন। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুইটি গাড়িই দ্রুতগতিতে আসছিল। এখানে কোনো জ্যাম ছিল না। ওভারস্পিডের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত