নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:৩৭

শরতের বৃষ্টিতেও নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা, দূর্ভোগে নগরবাসী

বর্ষা মৌসুম পেরিয়ে শরৎও মাঝামাঝি পর্যায়ে। এই শরতের বৃষ্টিতেই বুধবার সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। এতে দূর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।

বুধবার মধ্যরাতে এ রিপোর্ট লেখার সময়ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি হতে পারে। ফলে জলাবদ্ধতার দূর্ভোগ আরও বাড়ার শঙ্কায় নগরীর বাসিন্দারা।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, বুধবার সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ৩৩.৬ মিলিমিটার  বৃষ্টিপাত হয়। রাতেও প্রচুর বৃষ্টি হয় নগরে।

টানা বৃষ্টির কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অনেক এলাকার সড়কে দেখা দেয় হাঁটু পানি। কিছু কিছু এলাকার দোকানপাট ও বাড়িঘরেও ঢুকে পড়ে পানি।

সিটি কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্বাচনের আগে ও পরে অন্তবর্তীকালীন সময়ে ড্রেনেজ পরিষ্কার কাজ ব্যহত হওয়ায় ড্রেনে আবর্জনা জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।


বুধবারের বৃষ্টিতে নগরীর জিন্দাবাজার, সুবিদ বাজার, লাভলী রোড, লন্ডনী রোড, কলাপাড়া এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সিলেট সুনামগঞ্জ রোডের পাঠানটুলা-মদিনা মার্কেট-সুবিদবাজার এলাকার প্রধান সড়কে জমে  যায় হাঁটু পানি। এতে বিপত্তিতে পড়েন এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী, চালক ও পথচারীরা।

জিন্দাবাজার এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়।

সুবিদবাজার এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী শিপু আহমদ বলেন, মাত্র কয়েকঘন্টার বৃষ্টিতেই নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলো। অথচ নগরীর জলবদ্ধতা নিরসনে শত শত কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এতো টাকা খরচ করেও নগরবাসী কোনো সুফল পাচ্ছেন না।

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, নির্বাচনের আগে-পরে অন্তবর্তীকালীন সময়ে সিটি করপোরেশনের কাজের গতি কিছুটা কমে এসেছে। এতে বিভিন্ন বিভিন্ন জায়গায় পলিথিন বা আবর্জনা জমে ড্রেনের মুখ বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতা হতে পারে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত