নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ জুলাই, ২০১৫ ১৪:০৭

মূসক দিবসে সিলেটের সর্বোচ্চ মূসকদাতা ১১ প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা

‘সময় মতো মূসক দিবো, দেশ গড়ায় অংশ নিবো’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সিলেটে ১০ জুলাই জাতীয় মূসক দিবস ও ১০-১৬ জুলাই জাতীয় মূসক সপ্তাহ ২০১৫ উদযাপন হয়েছে। মূল্য সংযোজন কর (মূসক) দাতাদের উদ্বুদ্ধকরণ ও মূসক কর্মকর্তাদের মধ্যে সেবার মানসিকতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট-এর উদ্যোগে বর্নাঢ্য র‌্যালী, শুভাযাত্রা ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার সকাল ১০টায় নগরীর উপশহরস্থ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট-এর অফিস কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একটি অভিজাত হোটেলে এসে আলোচনা সভার মাধ্যমে শেষ হয়। র‌্যালীর শুরুতেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিলেট ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী রঙিন বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে জাতীয় মুসক দিবস ও মুসক সপ্তাহ-এর শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন।

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট-এর কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান এর সভাপতিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ কামরুল আহসান, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সভাপতি সালাহ উদ্দিন আলী আহমদ।

এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে সিলেট অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীগণ, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, চিত্রগ্রাহক, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট-এর সকল স্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ ও অন্যান্য সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় সিলেট বিভাগের সকল জেলা পর্যায়ের সর্বোচ্চ সংযোজন কর (মুসক) ভ্যাট প্রদানকারী ১১টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ করদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সানটেক এনার্জি লিঃ, পাঁচ ভাই রেষ্টুরেন্ট, আড়ং (ব্র্যাক), মেসার্স স্টার সিরামিকস, মেসার্স হোটেল আমাদ, রহমান এন্টার প্রাইজ, ভাড়াউড়া চা বাগান, সাউদার্ন অটোমোবাইল লিঃ, মেসার্স নূর লাইম ওয়ার্কস, ফুলকলি, মেসার্স আবুল লেইছ এন্ড সন্স।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বলেন, সিলেট বিভাগে যারা সর্বোচ্চ মূসক প্রদানের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন তাদের সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমরা দেশের নাগরিক হিসেবে সরকারের নিকট হতে সকল নাগরিক সুবিধা পাওয়ার জন্য মুসক প্রদান করবো। মুসক প্রদানের মাধ্যমে সরকারের হাতকে আরো শক্তিশালী করবো।

সভাপতির বক্তব্যে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট-এর কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান বলেন, অনেক অস্থিতিশীলতার মধ্য দিয়েও বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট প্রচেষ্ঠা নির্ভর খাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব অর্জনে সক্ষম হয়েছে। তিনি সভায় সিলেট অঞ্চলের ব্যাবসায়ীদের ধন্যবাদ জানিয়ে উল্লেখ করেন সিলেট অঞ্চলের ব্যাবসায়ীদের সদিচ্ছা ও মূসক কর্মকর্তাদের প্রচেষ্ঠার ফলে বিগত সময়ের চেয়ে গত ২ বছরে মূসক আদায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত