নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৬:৩৯

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রশীদের উপর হামলা: এক মাসেও অধরা হামলাকারীরা

সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এম. রশীদ আহমদের উপর হামলার ঘটনায় একমাসেও হামলাকারীদের সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এঘটনায় মামুন নামে একজনকে সন্দেহজনকভাবে আটক ছাড়া আর কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তারও করা যায়নি।

গত ১৯ আগস্ট মধ্যরাতে নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন রশীদ। হামলায় গুরুতর হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসা নেন তিনি।

হামলার পর ২৩ আগস্ট রশীদ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে নগরীর বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে এক মাস পেরিয়ে গেলেও এই হামলার কোনো ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করলেও সেখানে হামলার কোনো দৃশ্য নেই বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। আর সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করলেও তাতে হামলার কোনো দৃশ্য পাওয়া যায়নি।

তবে অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগেরই কিছু নেতার চাপে এই মামলার আসামীদের ধরতে নিস্ক্রিয় রয়েছে পুলিশ।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সিলেট সিটি নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বের জেরে হামলার শিকার হন রশীদ। দলটির এক প্রভাবশালী নেতার অনুসারীরা রশীদের উপর হামলা করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

হামলার পর এঘটনা আপোষে শেষ করারও উদ্যোগ নেন একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা।

তবে আপোষের উদ্যোগের কথা অস্বীকার করে রশীদ আহমদ বলেন, হামলার পরপরই আমি মামলা করেছি। তবু এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। হামলার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেনি। এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠে।

তিনি বলেন, আমি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও এখনো সুস্থ হইনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু অর্থাভাবে যেতে পারছি না।

মামলার কারো নাম উল্লেখ না করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি হামলাকারীদের কাউকে চিনতে পারিনি। তাই নাম উল্লেখ করিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত