নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ২০:০৪

মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেওয়ার প্রত্যয়

মুনির তপন জুয়েল স্মরণে আলোর মিছিল

জামায়াত শিবিরের হামলায় খুন হওয়া প্রগতিশীল তিন ছাত্রনেতা মুনির-তপন-জুয়েল স্মরণে আলোর মিছিল করেছে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সাংস্কৃতিক মোর্চা। সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আলোর মিছিল শুরু হয়ে কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল শুরুর পর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে বক্তারা বলেন, ১৯৮৮ সালের এই দিনে জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে প্রগতিশীল ছাত্রনেতা মুনির, তপন ও জুয়েলকে হত্যা করে। এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ৩০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি।

বক্তারা বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের পুনর্বিচারের দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমেই সিলেটে শিবিরের সন্ত্রাসের রাজনীতির উত্তান ঘটে। মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি ছড়িয়ে পড়ে। তাই এই দিনটি প্রতিবছর সিলেটে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী দিবস হিসেবে পালন করে আসছে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সাংস্কৃতিক মোর্চা। বক্তারা মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

আলোর মিছিলের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সাংস্কৃতিক মোর্চার আহ্বায়ক মিশফাক আহমদ মিশু ও শেষে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন দেবাশীষ দেবু।

আলোর মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন জাসদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি লোকমান আহমদ, নাট্য ব্যক্তিত্ব অরিন্দম দত্ত চন্দন, প্রবীণ সাংবাদিক আল আজাদ, আওয়ামী লীগ নেতা প্রিন্স ছদরুজ্জামান, নাট্য ব্যক্তিত্ব এনামুল মুনির, আব্দুল কাইয়ুম মুকুল, বিভাস শ্যাম যাদন, জাসদ নেতা গিয়াস আহমদ, মজির উদ্দিন আনসার, কে. এ. কিবরিয়া চৌধুরী, আলাউদ্দিন আহমদ মুক্তা, বাসদ’র জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক রাজীব রাসেল, চিত্রশিল্পী ইসমাইল গনি হিমন প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত