নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০১:০৭

‘প্রধানমন্ত্রী চাইলে’ সিলেট থেকে নির্বাচন করবেন ফরাসউদ্দিন

প্রধানমন্ত্রী চাইলে সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন।

হবিগঞ্জের মাধপুরে জন্ম নেওয়া ফরাসউদ্দিন আগামী সংসদ নির্বাচনে মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হতে পারেন বলে আওয়ামী লীগের মধ্যেই আলোচনা রয়েছে।

এই আলোচনার মধ্যেই সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকের সাথে আলাপকালে ফরাস উদ্দিন বলেন, আমার বাড়ি মাধবপুরে হলেও শৈশব-কৈশোর ও যৌবনের প্রায় পুরোটা কেটেছে সিলেটে। ওখানেই পড়াশোনা করেছি। তখন মাধবপুর বৃহত্তর সিলেট জেলার অধীন ছিল। সবমিলে সিলেটকে নিজের শহর বলেই মনে করি। তাই সিলেট-১ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে সবকিছু নির্ভর করবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। তিনি বিচার-বিবেচনা করছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা চাইলে আমি অবশ্যই নির্বাচন করব।

এই আসনের বর্তমান সাংসদ আবুল মাল আবদুল মুহিত আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না বলে জানিয়েছেন। এ অবস্থায় কে হচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী? দলের ভেতরেই আছে এ নিয়ে আলোচনা।

মুহিতের আশা তাঁর ভাই ড. একে আবুল মোমেনকেই আগামী নির্বাচনে দল থেকে প্রার্থী করা হবে। স্পষ্ট করে এখনো কোনো ঘোষণা দিলেও অনেকদিনই এলক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন মোমেন। সিলেটে নানা কর্মকান্ডে সরব রয়েছেন তিনি। তবে দলের অনেক নেতার সঙ্গে বেশ দুরত্ব রয়েছে জাতীসংঘে বাংলাদেশের সাবেক এ স্থায়ী প্রতিনিধির। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার সময় 'দেশে বড় দায়িত্ব' দেওয়ার কথা বলেছিলেন তাকে।

এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছে নগরীরই বাসিন্দা সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইনের নামও।

তবে এবার জোড়েসোড়েই উচ্চারিত হচ্ছে ফরাসউদ্দিনের নাম। এ প্রসঙ্গে ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, সম্ভাব্য আর যারা আলোচনায় আছেন তারাও ভালো। সুযোগসন্ধানী কিছু মানুষ আমাকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় রয়েছে তারা সবাই ভালো মানুষ। তাদের কারও ব্যাপারে নেতিবাচক কিছু বলার অবকাশ নেই।


স্বাধীনতা-পরবর্তী সিলেট-১ আসনে বিজয়ী প্রার্থীর দল সরকার গঠন করে আসায় এই আসনেক মর্যাদাপূর্ণ মনে করে সব দলই। ফলে এ আসনে হেভিওয়েট প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেয় সকল দল।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ১৯৯৮ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ২২ নভেম্বর পর্যন্ত গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন ড. ফরাসউদ্দিন। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান তিনি। বর্তমানে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রেসিডেন্ট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত