কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৮:৫৩

৩৩ কেভি প্রধান লাইনে যান্ত্রিক ত্রুটি, ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন কমলগঞ্জ

৩৩ হাজার কেভি প্রধান বিদ্যুৎ লাইনের কুলাউড়া এলাকায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে টানা ৫ ঘণ্টা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনস্থ ৭৫ হাজার গ্রাহককে।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে বৈদ্যুতিক লাইনের ইন্স্যুলেটর ভেঙ্গে পবিস কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাধীন এলাকা বিদ্যুৎবিহীন ছিল বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় আকস্মিকভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। ঘটনার পর পবিস কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৩৩ হাজার কেভি প্রধান বিদ্যুৎ লাইনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

টানা এক ঘণ্টা খোঁজ করে জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলা এলাকায় ৩৩ হাজার কেভি বিদ্যুৎ লাইনের একটি স্থানের দুটি ইন্স্যুলেটর ভেঙ্গে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে নতুন ইন্স্যুলেটর স্থাপন করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে কিছু সময় লাগবে বলেও পবিস আঞ্চলিক অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক জানিয়েছিলেন।

এরপর ভাঙ্গা ইন্স্যুলেটর সরিয়ে সেখানে নতুন ইন্স্যুলেটর স্থাপন করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে সময় লেগে যায় ৫ ঘণ্টা। বিকাল ৪টায় আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।

সকাল থেকে টানা ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় পবিস কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলা ৭৫ হাজার গ্রাহক দুর্ভোগের মাঝে পড়েছিলেন। বিশেষ করে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশ সমস্যা হয়েছে।

পূবালী ব্যাংক শমশেরনগর শাখা ব্যবস্থাপক নুপুর বৈদ্য জানান, এখন ব্যাংকের সকল প্রকার লেনদেন অনলাইনে হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় প্রাথমিকভাবে কিছুটা সমস্যা হলে পরে বাধ্য হয়ে তারা ব্যক্তিগত জেনারেটর ব্যবহার করে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়েছেন। তবে টানা ৫ ঘণ্টা জেনারেটর চালিয়ে কাজকর্ম করা কঠিন ছিল বলে তিনি জানান। একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপকরাও।

শমশেরনগর হাজী মো. উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. সালাহ উদ্দীন তফাদার বলেন, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ক্লাস পরিচালনায় ছাত্র ও শিক্ষক উভয়ের সমস্যা হয়েছে।

শমশেরনগরের নাসিফ কম্পিউটারের মালিক নুরুল মোহাইমীন ও মৈত্রী কম্পিউটারের মালিক আব্দুস শুকুর বলেন, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ব্যাংক, বীমা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা কাজে ফটোকপি নিতে হয়। টানা ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় অনেককেই বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. মোবারক হোসেন সরকার বলেন, এটি একটি যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল। এ ত্রুটি সারিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে এত সময় লেগেছে। তবে তিনি বলেন, টানা ৫ ঘণ্টা নয় ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন ছিল।

তিনি আরও বলেন, এ ত্রুটির কারণে একই সাথে জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলাও বিদ্যুৎবিহীন ছিল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত