বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

১০ অক্টোবর, ২০১৮ ১৯:১৯

‘কয়েলে নয়, পেট্রোলের আগুনে মারা যান বিশ্বনাথের গৃহিনী চম্পা’

এক মাস ১৩ দিনের মাথায় রহস্য উদঘাটন করা হলো আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া চম্পা বেগমের বসতঘরের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার। কয়েলের আগুনে নয়, স্বামীর সৎ ভাইয়ের স্ত্রী রেহেনা বেগমের প্রেমিক বিশ্বনাথের রহিমপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামের আরশ আলীর দেওয়া পেট্রোলের আগুনেই মারা যান চম্পা। পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় ফারুক মিয়া, তার স্ত্রী চম্পা বেগম ও তাদের সন্তানদের পুড়িয়ে মারতেই বসত ঘরে আগুন দেন আরশ আলী।

বুধবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে আরশ আলীর দেওয়া স্বীকারোক্তির তথ্য জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম।

সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেল এএসপি সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে ওসি জানান, 'কয়েলে নয়, পেট্রোলের দেওয়া আগুনেই মারা যান গৃহিনী চম্পা।'

ওসি জানান, ২৮ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় কামাল বাজারের হুসিয়ার এন্টারপ্রাইজ থেকে ২ লিটার পেট্রোল কিনেন আরশ আলী (৪৫)। পরদিন ২৯ আগস্ট বুধবার ভোররাতে একই গ্রামের কৃষক ফারুক মিয়ার ঘরের দরজার ফাঁক দিয়ে আগুন দেন তিনি। এতে অগ্নিদগ্ধ হন ফারুক মিয়া, তার স্ত্রী চম্পা বেগম, মেয়ে রিফা বেগম, ছেলে এমাদ মিয়া, এমরান মিয়া, ও মিজান মিয়া। উন্নত চিকিৎসার জন্যে চম্পা ও তার মেয়েকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ২ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চম্পার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে কয়েলের আগুনে বসতঘরসহ একই পরিবারের ৬ সদস্য অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে ১৭ সেপ্টেম্বর চম্পার ভাই টেংরা গ্রামের সফিক মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ২১)। মামলার প্রেক্ষিতে ফারুক মিয়ার সৎ ভাই প্রবাসী ফরিদ মিয়ার স্ত্রী রেহেনা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। রেহানার স্বীকারোক্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট থেকে আরশ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনের পর বুধবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।    

আপনার মন্তব্য

আলোচিত