কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

২০ অক্টোবর, ২০১৮ ১৯:১৩

চার দফা দাবিতে চা-বাগানের ১৪০০ শ্রমিকের কর্মবিরতি

৪ দফা আদায়ের দাবিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নে ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) মালিকানাধীন ৩টি চা বাগানের ১৪০০ চা শ্রমিক কাজে যোগদান না করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

শনিবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে সরকারি মালিকানাধীন ন্যাশন্যাল টি কোম্পানি (এনটিসি)-ও কুরমা, বাঘাছড়া ও কুরুঞ্জী চা-বাগানে এ কর্মবিরতি শুরু করে চা শ্রমিকরা।

কুরমা চা-বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশি, বাঘাছড়া চা-বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি রাখাল গোয়ালা ও কুরুঞ্জী চা-বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি শিমন্ত মুন্ডা জানান, ৪ আগস্ট এই তিন বাগানে মাত্র দুটি দাবি নিয়ে চা শ্রমিকরা টানা ৪ ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করেছিল। তখন কুরমা চা-বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক তিনটি চা-বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির নেতৃবৃন্দের কাছে আশ্বাস দিয়েছিলেন দ্রুত এ দাবি বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন। এই আশ্বাসে কুরমা, বাঘাছড়া ও কুরঞ্জী চা-বাগানের শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে ওই দিন বিকাল থেকেই কাজে যোগ দিয়েছিল। কুরমা চা-বাগান ব্যবস্থাপকের আশ্বাস প্রদানের প্রায় তিন মাসের মধ্যেও তা বাস্তবায়ন হয়নি বলে ৪টি দফা আদায়ের দাবিতে শনিবার সকাল ৮টা থেকে আবার তিন বাগানের ১৪০০ চা শ্রমিক কাজে যোগ না দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে।

চা শ্রমিকদের ৪ দফা হচ্ছে- ৪ জন শ্রমিক সন্তানকে শিক্ষানবিস হিসাবে কাজ করার সুযোগ দান, দৈনিক হাজিরা প্রাপ্ত মজুর সর্দারকে স্থায়ী নিয়োগ দান, ২০১৫-২০১৬ সালের মাটির দেয়াল নির্মাণের বিল পরিশোধ করা ও চা শ্রমিকদের গ্রেচ্যুয়েটি প্রদান করা।

তিন চা-বাগানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু সম্পর্কে কুরমা চা বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির সভাপতি ধনা বাউরী, সহসভাপতি গায়ত্রী রানী দাস ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা এই তিন বাগানে অনির্দিষ্টকালে কর্মবিরতির সত্যতা নিশ্চিত করেন। কর্মবিরতির কথা শুনেই তারা কুরমা চা-বাগানে এসেছিলেন বাগান ব্যবস্থাপকের সাথে কথা বলতে। কুরমা চা-বাগান ব্যবস্থাপক মো.শফিকুর রহমান চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভ্যালি নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলতে চাননি বলে তারা জানান।

তবে কুরমা, বাঘাছড়া ও কুরঞ্জী চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের সাথে চা-বাগান ব্যবস্থাপক কথা বলতে চাইছেন বলে ভ্যালি কমিটির নেতৃবৃন্দরা জানান।

শনিবার সকাল থেকে তিনটি চা-বাগানের চা শ্রমিকের কর্মবিরতি পালন সম্পর্কে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, এ ঘটনা তিনি জানেন না। তাছাড়া কুরমা চা-বাগানের ব্যবস্থাপকও তাকে কিছু জানাননি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত