হৃদয় দাশ শুভ, শ্রীমঙ্গল

০৬ নভেম্বর, ২০১৮ ১৮:৩৬

শ্রীমঙ্গলে পাঁচ মাস ধরে ভাঙা দুই সেতু, ভোগান্তিতে দশ গ্রামের মানুষ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দুটি সেতু ভেঙে পড়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন দশ গ্রামের মানুষ।

জানা যায়, উপজেলার উদনা ছড়া পাড় ভেঙে গতিপথ হারিয়ে গ্রামের ভেতর পানি প্রবেশ করে একটি সেতু ধ্বসে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলো। চলাচলের জন্য গ্রামবাসী নিজেরাই প্রথমে ভাঙা অংশে মাটি দিয়ে কোন রকমে চলাচলের ব্যবস্থা করে। পরে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বালুর বস্তা দিয়ে ছোট যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়।

এরপর প্রায় পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়েই ব্রিজ পাড় হচ্ছেন স্থানীয় উদনারপাড় গ্রাম ও আশপাশের মতিগঞ্জ, নওয়াগাঁও, কাজিরগাঁও, রসুলপুর, ডোবারগাঁও, জিলাদপুরসহ দশটি গ্রামের মানুষ।

সরেজমিন উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের এই দুটি স্থান ঘুরে দেখা যায়, আশিদ্রোন ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এলাকা উদনারপার গ্রামের প্রধান সড়কটির উপরে নির্মিত ব্রিজের জায়গায় মাটি ও বালুর বস্তা দিয়ে কোন রকমে ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখান দিয়ে কোন রকমে যাতায়াত করছে রিকশা, সিএনজিসহ ছোট ছোট যানবাহন গুলো।

অপরদিকে মাধবপাশা গ্রাম এলাকার জোড়াপুল সংলগ্ন ব্রিজটির অবস্থা আরও শোচনীয়। এই রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে রিকশা, সিএনজি ও অটো রিকশা চলাচল করছে। সারা দিনে কয়েকটি ছোট পিকআপ ভ্যান অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে এই অংশটুকু পাড়ি দেয়, যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোর যাত্রীদের আগেই নামিয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা করিম উল্লা বলেন, দুইটি সেতুর উপর দিয়ে ১০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকেন। পাঁচ মাস আগে ব্রিজ দেবে যাওয়ার কারণে খুবই কষ্ট করে আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে।

এই সড়কের সিএনজি চালক খোরশেদ আহমেদ বলেন, ব্রিজ ভাঙার কারণে গাড়িতে মালামাল নিয়ে এই রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছে না। ৫ কিলোমিটার সড়ক আমাদের ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। এতে আমাদের পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। তাছাড়া ভেঙে পড়া ব্রিজের বর্তমান অবস্থা খুবই করুণ। এই রাস্তা দিয়ে যেতে হলে যাত্রীদের নামিয়ে খুবই কষ্ট করে যানবাহন পার করতে হয়। খুব দ্রুত এই ব্রিজ নির্মাণ করা হোক।

আশিদ্রোণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রণেন্দ্র প্রসাদ বর্ধন বলেন, ব্রিজের জন্য এলাকার সমস্যার কথা ভেবে আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে সাময়িক কাজ করিয়েছিলাম। ব্রিজ তৈরি করতে হলে পাশ দিয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরি করতে হবে, ধান কাটার মৌসুম শেষ হলেই খেতের জায়গায় বিকল্প রাস্তা তৈরি করে কাজ শুরু করা যাবে বলে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে আলোচনা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকৌশলী সঞ্জয় মোহন সরকার সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আশিদ্রোন ইউনিয়নের জোড়া পুলের কাছের ব্রিজের জন্য এসটিমেট উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন হয়ে গেলে আমরা টেন্ডার আহবান করে কাজ শুরু করে দিবো। আর মতিগঞ্জ ভুজপুরের উদনারপাড়ের ব্রিজটি হচ্ছে গ্রাম্য সড়ক। জনগুরুত্ব বিবেচনায় এটাও আমরা তৈরি করার ব্যবস্থা করবো। তবে সময় লাগবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত