ছাতক প্রতিনিধি

০৮ নভেম্বর, ২০১৮ ০১:৪৫

ছাতকে আসামী ধরতে গিয়ে হামলায় পুলিশের ৩ সদস্য আহত

ছাতকে আসামী ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশের ৩ সদস্য। বুধবার (০৭নভেম্বর) ভোরে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ছৈদাবাদ গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা ছাতক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছাতক থানার এসআই অরুন কুমার দাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী ছৈদাবাদ গ্রামের বাদশা মিয়ার পুত্র সাব্বির আহমদকে গ্রেফতার করতে ছৈদাবাদ গ্রামে অভিযান চালায়। আসামীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সাব্বির আহমদের বসতঘরে নক করে পুলিশ। এসময় তার স্ত্রী সাব্বির আহমদ ঘরে নেই বলে পুলিশকে জানায়। এক পর্যায়ে পুলিশ ঘর তল্লাসী করতে চাইলে সাব্বিরের স্ত্রী বাড়িতে ডাকাত পড়েছে বলে চিৎকার করতে থাকে এবং মোবাইল ফোনেও আত্মীয় স্বজনদের জানাতে থাকে। সাব্বিরের স্ত্রীর আত্ম চিৎকারে চতুর্দিক থেকে লোকজন লাঠি-সোটা নিয়ে আসতে থাকলে পুলিশ সদস্যরা হাতের টর্সলাইট দিয়ে নিজের শরীরে থাকা পুলিশের ইউনিফরম দেখিয়েও রক্ষা পায়নি। লাঠি-সোটা নিয়ে পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ছাতক থানার এসআই অরুন কুমার দাস, এএসআই মোহাম্মদ আলী ও অমিত সিংহ আহত হয়। হামলার পরও আসামী সাব্বির আহমদ ও তার পিতা বাদশা মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এএসআই মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে ছাতক থানায় একটি পুলিশ এসল্ট মামলা(নং-০৬) রুজু করা হয়েছে।

এসআই অরুন কুমার দাস জানান, কৌশলে আসামীকে রক্ষা করতেই ডাকাত-ডাকাত বলে চিৎকার করা হয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক মোবাইল ফোনে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউনুছ মিয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হেকিমকে জানানো হয়। প্রায় আধঘন্টা পর চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে আসলেও ইউপি সদস্য তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পরবর্তিতে বন্ধ করে দেন।

ছাতক থানার অফিসার্স ইনচার্জ আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় থানায় পুলিশ এসল্ট মামলা রুজু করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত