শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

১০ নভেম্বর, ২০১৮ ১৫:৩৬

শ্রীমঙ্গলে গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে বিএনপি নেতাকর্মীরা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষণার পর থেকেই গ্রেপ্তার আতংকে ভুগছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা৷তফসীল ঘোষণার পর থেকেই বিএনপি নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। আর এ গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিয়েছেন।

গত দুইদিনে শ্রীমঙ্গল উপজেলা যুবদলের সভাপতি মহিউদ্দিন ঝাড়ু ও মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সহ সভাপতি আব্দুল গফুরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  তাদের গ্রেপ্তারের পরপরই এই আতংক আরও বেশী করে দেখা দিয়েছে শ্রীমঙ্গলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে৷

তথ্য মতে, চলতি বছরের শুরুতে মৌলভীবাজার জেলা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে হঠাৎ প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের পাদচারণা বেড়েছিল চোখে পড়ার মতো। সারাদিন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে আড্ডায় মশগুল থাকতো।

কিন্তু তফসীল ঘোষণার পর থেকেই এ চিত্র পাল্টে গেছে ৷ বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঠে তো দুরের কথা বাসায় ও পাওয়া যাচ্ছে না এখন,অনেকেই শ্রীমঙ্গলের বাইরে অবস্থান করছেন ৷ কেউ কেউ বন্ধ রেখেছেন তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও৷

বিএনপির দায়িত্বশীলদের মতে, পুলিশ জেলা-উপজেলায় বিএনপি নেতাদের বাসায় রাতে হানা দেয়ায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে কেউ বাসায় থাকছেন না।

কিন্তু পুলিশের দাবি শান্তি-শৃঙ্খলা বাজায় রাখতে পুলিশ নিয়মিত তৎপরতা চালালেও বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে তারা বাধা দিচ্ছে না।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী জানান, আমাদের বিরুদ্ধে কি মামলা আমরা কিছুই জানি না তবুও পুলিশ আমাদের নেতাদের কে টার্গেট করে করে গ্রেপ্তার করছে ৷আমরা রাতে বাসায় থাকতে পারছি না পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে৷

তিনি আরও বলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় কোনো কারণ ছাড়াই অসংখ্য নেতাকর্মীকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ আনা হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা বলেন, বর্তমান নেতৃত্ব সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। না হলে শ্রীমঙ্গলে আন্দোলনে নামতে বিএনপিতে কর্মীর অভাব নেই। ডাক দিলে হাজারও নেতাকর্মী রাজপথে নেমে আসবে। কিন্তু কেউ সমস্যায় পড়লে দায়িত্ব নেয়ার কেউ নেই। কার্যালয়ে নেতা আসছে না দেখে কর্মীও আসছে না।

শ্রীমঙ্গল পৌর বিএনপির সভাপতি মোছাব্বির আলী মুন্না জানান, কোনো কারণ ছাড়াই আমার ও অন্য নেতাদের বাড়িতে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে। ধরে নিয়ে গেছে কয়েকজন নেতাকর্মীকে। তাই তার বাসায় থাকতে পারছে না। ধরলেই নানা রকম মামলা যুক্ত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) আশরাফুজ্জামান সিলেটটুডে টৈয়েন্টিফোরকে জানান, আমরা যাদের গ্রেপ্তার করেছি তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ এ্যাসল্টের মামলা আছে ৷আর আমাদের অভিযানগুলো আমরা নিয়মিতই পরিচালনা করি। কাউকে হয়রানী করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়৷ শুধুমাত্র যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মামলা আছে তাদেরই আমরা গ্রেপ্তার করছি ৷

আপনার মন্তব্য

আলোচিত