কুলাউড়া প্রতিনিধি

১১ নভেম্বর, ২০১৮ ২১:২০

কুলাউড়ায় ব্যবসায়ীর ওপর হামলার ঘটনায় আটক ২

ছবি: আটক সাইদুল ইসলাম লাকী

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজারে ব্যবসায়ী সোহেল আহমদ ও আরিফুল ইসলামের ওপর হামলায় জড়িত সন্দেহে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) ও শনিবার (১০ নভেম্বর) পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয় বলে জানান কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী। পরে শনিবার মৌলভীবাজার আদালতের নির্দেশে আটককৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে সাইদুল ইসলাম লাকী (২৮) ও একই ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের তেরাব আলীর ছেলে মাইক্রোবাস গাড়ি চালক মো. রিয়াদুল ইসলাম (২২)।

জানা যায়, গত ২ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাজারের ব্যবসায়ী সোহেল আহমদ ও বাজারের আরেক ব্যবসায়ী মো. আরিফুল ইসলাম লোকমান ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে মোটরসাইকেল যোগে কুলাউড়া শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে কৌলা এলাকার কাপুয়ার ব্রিজের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ পিছন দিক থেকে একটি মাইক্রোবাস সোহেলের মোটরসাইকেলের পিছু নেয়। এসময় মাইক্রোবাসে বসা দুইজন ব্যক্তি সোহেল ও আরিফকে উদ্দেশ্য করে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে।

পরে অবস্থা বেগতিক দেখে মোটরসাইকেল চালক সোহেল গাড়ির গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এরই মধ্যে দায়ের একটি কোপ মোটরসাইকেল আরোহী আরিফের মাথার পিছনে আঘাত করে। বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেলের গতি কমিয়ে আনলে ওই ব্যক্তিরা সোহেলের মাথায়ও আঘাত করে মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদেরকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ঘটনায় সোহেল আহমদ বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী নিজে বিষয়টি তদন্ত করেন। এক পর্যায়ে মাইক্রোবাস সনাক্ত করে ওই গাড়ির ড্রাইভার রিয়াদকে শুক্রবার আটক করেন। পরে তার দেয়া জবানবন্দিতে শনিবার সাইদুল ইসলাম লাকীকে আটক করে পুলিশ। তারা ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিলে গত ১০ নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, লাকী ও গাড়ির ড্রাইভার রিয়াদ যেভাবে সোহেলকে আক্রমণ করেছে তা সিনেমার দৃশ্যকেও হার মানায়। ভাগ্যের কৃপায় সোহেল ও আরিফ বেঁচে গেছে। বিশেষ ব্যবস্থায় ঘটনার তদন্ত করে ওই মাইক্রোবাসটিকে সনাক্ত করি। পরে ড্রাইভার ও লাকীকে আটক করি। তারা উভয়ই ঘটনার স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত