নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ নভেম্বর, ২০১৮ ১৯:০৬

সিলেট-ঢাকা রুটে বিমানের সান্ধ্যকালীন ফ্লাইট প্রতিদিন চালুর আশ্বাস

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা দেশের টেকসই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে ২১০০ সাল ডেল্টা প্ল্যান হাতে নিয়েছেন। তিনি বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে সিলেট-ঢাকা-সিলেট রুটে বিমানের সান্ধ্যকালীন ফ্লাইট প্রতিদিন চালু, ট্রেনে এসি বগি সংযোজন এবং অন এরাইভাল ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আশ্বাস দেন।

সোমবার (১২ নভেম্বর) বিকাল ৪টায়  দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদের নেতৃত্বে চেম্বার নেতৃবৃন্দ ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। এসময় তারা সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হওয়ার জন্য মো. নজিবুর রহমানকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের দূরদর্শিতায় সিলেট ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোলিউশনে সম্পৃক্ত হতে পেরেছে। সিলেট অর্থনৈতিক অঞ্চল ও সিলেট ইলেক্ট্রনিক্স সিটি কোন বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ নয়, বরং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সুখী সমৃদ্ধ মধ্য আয়ের দেশ গঠন এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতারই প্রতিফলন। তিনি সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে উত্থাপিত প্রস্তাব সমূহ যথাযথভাবে বিবেচনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।

সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসায়ীদের কল্যাণে অত্যন্ত আন্তরিক। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প ও আইটি খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যার মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন, হাইটেক পার্ক নির্মাণ ইত্যাদি অন্যতম।

এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি সিলেট চেম্বারের দাবির প্রেক্ষিতে সিলেটে শ্রম আদালত স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সাথে সাক্ষাতকালে সিলেট চেম্বারের বিভিন্ন প্রস্তাবের উপর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও তিনি সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওয়াচ আওয়ারে জনবল সংকট দূরীকরণ এবং সিলেট-ঢাকা-সিলেট রুটে সান্ধ্যকালীন ফ্লাইট প্রতিদিন চালু রাখা, আমদানি-রপ্তানিকারক ও পর্যটকগণের সুবিধার্থে তামাবিল স্থলবন্দরে সোনালী ব্যাংকের শাখা স্থাপন, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমসে ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন এর কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন, বিমানবন্দরে যাত্রী যাওয়া আসার ক্ষেত্রে ভিজিটরদের জন্য বসার ব্যবস্থা, বিদেশীদের জন্য অন এরাইভাল ভিসা ৯০ দিন করার ব্যবস্থা, ট্যুারিস্ট স্পটগুলোর সৌন্দর্য বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও রাস্তাঘাটের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সিলেটে গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালু করা, সিলেট-ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে রেলের নতুন বগি সংযোজন, রেললাইন সংস্কার ও সেবার মান বৃদ্ধিকরণ, সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ রাস্তার কাজ দ্রুত বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।

এছাড়া সিলেট হাইটেক পার্কে বিনিয়োগে প্রবাসীদের আকৃষ্টকরণের লক্ষ্যে লন্ডনে সেমিনারে চেম্বারের পক্ষ থেকে যোগদানের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটির তথ্য জানার জন্য বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে সিলেট চেম্বারের তথ্যকেন্দ্র স্থাপন এবং চেম্বারের জন্য প্লট বরাদ্দের অনুরোধ জানান।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে সিলেটকে যানজটমুক্ত পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলতে ‘কিপ সিলেট ক্লিন’ কর্মসূচি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। মুখ্য সচিবের সাথে সাক্ষাতকালে সিলেট চেম্বারের বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর প্রামাণ্যচিত্রের কপি হাতে তুলে দেয়া হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি মাসুদ আহমদ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, পরিচালক এহতেশামুল হক চৌধুরী, আব্দুর রহমান, চন্দন সাহা, আলহাজ্ব মো. আতিক হোসেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব এম আব্দুর রউফ, টি প্লান্টারস এন্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক জাহার তরফদার।

এছাড়াও এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত