নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ নভেম্বর, ২০১৮ ১৪:০৫

পাঁচভাই রেস্টুরেন্টে অবৈধ পাখি বিক্রি, দুজনের কারাদণ্ড

সিলেট নগরের বহুল পরিচিত পাঁচভাই রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বিপুল পরিমাণ জবাই করা অতিথি ও পরিযায়ী পাখি জব্দ করা হয়েছে। এসময় রেস্টুরেন্টটির দুজন ব্যবস্থাপককে ৩ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত ।

মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ২টায় সিলেট জেলা প্রশাসন, র‍্যাব-৯ এবং বনবিভাগ যৌথভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে খাবারের সাথে অতিথি পাখি অবৈধভাবে বিক্রি ও সংরক্ষণের অভিযোগে পাঁচভাই রেস্টুরেন্টের দুই ব্যবস্থাপককে আটক করা হয়। পরে বিকেল চারটায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে পাঁচভাই রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক আব্দুল আওয়াল ও কাউসার আহমদকে তিনমাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন সিলেট জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো. হেলাল চৌধুরী।

 বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে অভিযানে নামে র‍্যাব-৯, সিলেট জেলা প্রশাসন এবং বনবিভাগ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অংশ নেন সিলেট জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো. হেলাল চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম, র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৯) এর সিনিয়র এ.এস.পি মাঈন উদ্দিন চৌধুরী,  বনবিভাগের রেঞ্জার মো. দেলোয়ার রহমান।

অভিযানে সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ ও বাপার সংগঠক বদর চৌধুরী।

অভিযানকালে পাঁচভাই রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে সংরক্ষণ করা অবস্থায় ২৫ টি অতিথি পাখি গাঙ টিটি, ২৯ টি  সাদা ও কানি বক ও ৮টি বালিহাস এবং  রান্না করা আরো ৩৯ টি পাখির মাংস জব্দ করা হয়।

 অভিযানকালে অবৈধভাবে পাখি বিক্রির অভিযোগে দুজনকে সাজা দিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো. হেলাল চৌধুরী। তিনি বলেন, এরা অতিথি পাখি জবাই ও রান্না করে বিক্রি করে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে অপরাধ করেছেন। আটককৃতরা অপরাধ স্বীকার করায় তাদের প্রত্যেককে তিনমাস করে কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম জানান, পাঁচভাই রেস্টুরেন্টে অবৈধভাবে পাখি বিক্রির অভিযোগটি দীর্ঘ দিনের।  ৮/১০ দিন আগে বিষয়টি তিনি বনবিভাগকে জানান। কিন্তু আইনি কিছু বিধিনিষেধের কারণে এতে সম্পৃক্ত হয় র‍্যাব-৯ ও জেলা প্রশাসন এবং সর্বশেষ আজ ক্রেতা সেজে পাখি রেস্টুরেন্টে আছে নিশ্চিত হয়ে প্রশাসনকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়।

কিম বলেন, সিলেটের একটা জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট যদি এভাবে অবৈধ পাখি বিক্রি করে এবং সাধারণ মানুষও তা গ্রহণ করে তাহলে তো পাখি শিকারীরা উৎসাহিত হবে। এ ব্যাপারে আমাদের আরও সচেতন হওয়া উচিত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত