বানিয়াচং প্রতিনিধি

১৮ নভেম্বর, ২০১৮ ১৬:৫৫

হবিগঞ্জ-২: কে হচ্ছেন বড় দুই দলের প্রার্থী

সকালে এক প্রার্থী নিশ্চিত তো বিকালে আরেক প্রার্থী নিশ্চিত। এই বলে নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঝড় তুলে যাচ্ছেন প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকেরা। বর্তমান সময়ে এই রকম গুজব ভেসে বেড়াচ্ছে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ নির্বাচনী আসনে ভোটারদের মধ্যে। নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীদের নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ফেসবুকে ইঙ্গিত করে যাচ্ছেন।

জানা যায়, এই আসনে আগামীতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার জন্য আ’লীগ থেকে এগার জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন ফর্ম তোলে জমা দিয়েছেন। বিএনপি থেকে ছয়জন প্রার্থী তাদের দলীয় ফর্ম তুলেছেন। তবে এদের মধ্যে কয়েকজন ফর্ম জমা দেননি এখনো। এই আসনে কে হচ্ছেন আ’লীগ বিএনপির প্রার্থী দলীয়ভাবে তা ঘোষণা করা না হলেও সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে গুজব। ছড়িয়ে পড়ছে তথ্য বিভ্রাটের ডালপালা। তরুণ প্রজন্ম নির্বাচনী ইস্যুতে তথ্য আদান-প্রদানে ফেসবুকের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এই গুজবে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

দেশের মূলধারার গণমাধ্যমগুলো থেকে সঠিক তথ্য উঠে না আসায় আস্থা রাখতে হয়েছে অনলাইন নিউজ পোর্টালের দিকে। প্রার্থী নিয়ে যার যেমন খুশি ফেসবুকে মন্তব্য দিচ্ছে, সত্য-মিথ্যা প্রকাশ করছে। সেই সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই অন্যরা লাইক কমেন্ট দিয়ে যাচ্ছেন হরহামেশা। আবার শেয়ার লাইকের মাধ্যমে সর্বত্র গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে। দলীয় প্রধানের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত প্রার্থীদের কোন তালিকা প্রকাশ করা হয়নি মর্মে ঘোষণা দেয়ার পরও কর্মী সমর্থকদের অতি উল্লাসের ফলে একে অপরের মধ্যে আক্রোশের মাত্রাটা আরো বেড়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন।

বিশেষ করে প্রভাবশালী দলের দুই প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের নিজের প্রার্থীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এগিয়ে রাখছেন। কোনো কোনো প্রার্থী আবার পোস্টারে আ’লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নিজেকে জাহির করে এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। যা অনেকটাই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল বলে মনে করছেন সচেতন মহল। একে অন্যের সঙ্গে মতবিনিময় এবং খবরের আদান প্রদান করছে ফেসবুক। এই খবরের আদান প্রদানই মূলত গুজব ছড়াচ্ছে চতুর্দিকে।
ব্যবহারকারীদের তেমন দায়বদ্ধতাও নেই। সেই জন্যই যে যার খুশি মতো নিজের পছন্দের প্রার্থীকে প্রচারে এগিয়ে রাখছেন এই মাধ্যমগুলোতে। তবে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ আসনে শেষ পর্যন্ত কে হচ্ছেন বড় দুই দলের প্রার্থী তা এখনো নিশ্চিত করে বলা না গেলেও তা জানতে আরো কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে হতে ভোটারদের।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত