কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:৪৫

মৌলভীবাজার-৪ আসনে ভোটার বেড়েছে ৪৭ হাজার

মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনের দুই উপজেলায় ভোটার বেড়েছে প্রায় ৪৭ হাজার। বাড়তি ভোটারের মাঝে ৮০ শতাংশই তরুণ ভোটার। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে তরুণ ভোটাররা।

মৌলভীবাজার-৪ আসনের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে আসন্ন ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ভোটার বেড়েছে ৪৬ হাজার ৯৩৫ জন। অফিস রেকর্ড সূত্রে দেখা যায়, ২০১৪ সালে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমলগঞ্জ উপজেলায় ভোটার ছিল ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৩৭ জন। ৭০টি কেন্দ্রের পুরুষ ভোটার ছিল ৭৭ হাজার ৭৫৬ জন। মহিলা ভোটার ছিল ৭৯ হাজার ৩৮১ জন। বর্তমানে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমলগঞ্জ উপজেলায় আরও নতুন ২টি কেন্দ্রে বেড়ে মোট ৭২টি কেন্দ্রে ভোটার হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৪শ জন। পুরুষ ভোটার হয়েছে ৮৯ হাজার ৫৬৪ জন। কমলগঞ্জে ভোটার বেড়েছে ২২ হাজার ১৬৩ জন।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৮টি কেন্দ্রে ভোটার ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬২ জন। পুরুষ ভোটার ছিল ৯৭ হাজার ২১২ জন। আর মহিলা ভোটার ছিল ৯৭ হাজার ৫৫০ জন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় আরও ২টি বুথ বেড়ে ৮০টি বুথে ভোটার হয়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৫৩৫ জন। শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ভোটার বেড়েছে ২৪ হাজার ৭৭৩ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৪ আসনে ভোটার ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৩৫ জন।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ার মাহমুদ বলেন, ২ উপজেলায় ভোটার বেড়েছে ৪৬ হাজার ৯৩৫ জন। এদের ৮০ শতাংশই তরুণ ভোটার। এর মধ্যে কিছু আছেন প্রবাসী ভোটার।

কমলগঞ্জ উপজেলার নতুন ভোটার লাভলী আক্তার, সুমী বেগম, পরিমল দেব, শ্রাবন্তী সিংহ, আব্দুল মজিদ বলেন, এবার আমরা জীবনের প্রথম ভোট দিতে পারবো এতেই আনন্দ বোধ করছি। জীবনের প্রথম ভোট, তাই সৎ, যোগ্য ও এলাকার উন্নয়নে যে অবদান রাখতে পারবেন সেই প্রার্থীকেই ভোট দিব। যাতে এলাকার মানুষের কল্যাণ হয়। তারা আরো বলেন, একটি ভোট হয়তো যে কোন প্রার্থীর জয়-পরাজয়ে কোন ভূমিকা রাখবেনা তবুও আমরা আমাদের পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিব।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার নতুন ভোটারদের মধ্যে কলেজছাত্রী হেপী বেগম ও সুমনা চন্দ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, এলাকাসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে যিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবেন, সমাজে নারীদের নিয়ে যিনি বেশি বেশি চিন্তা করে এগিয়ে আসবেন, তাঁকেই আমরা বেছে নেবো।  

নতুন ভোটার সাইফুল ইসলাম ও আশিক মিয়া বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে শুধু মুখের বুলি নয়, যিনি সত্যিকার অর্থে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে কাজ করবেন, তাঁর দিকেই নতুন ভোটাররা ঝুঁকবেন।

কলেজ ছাত্রী সামিয়া ইসলাম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন প্রথমবার ভোট দিবে। তাই মার্কা বড় কথা নয় আমার বিবেক বুদ্ধিতে যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই ভোট দিবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত