কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:৩০

কমলগঞ্জে গিয়াস হত্যা: মামলা দায়ের

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে জমির মালিকানা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে রহিমপুর ইউনিয়নের উত্তর বড়চেগ গ্রামের গিয়াস মিয়াকে (৩৫) হত্যার দায়ে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে নিহতের স্ত্রী ছালেখা বেগম নিজে বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন কমলগঞ্জ থানায়। এর আগে ঘটনার পরপর আটককৃত তিনজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

জানা যায়,  ২০ শতাংশ ধানি জমি নিয়ে উত্তর বড়চেগ গ্রামের মৃত হাজী রমিজ মিয়ার প্রবাসী ছেলে জামাল মিয়া (৩৮) ও বাদশাহ মিয়ার (৩৫) সাথে উত্তর বড়চেগ গ্রামের নজির মিয়ার (নিহতের বাবা) পরিবারের দীর্ঘ দিনের বিরোধ ছিল। এ নিয়ে রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সামাজিক বিচারের পর বিরোধপূর্ণ জমি গিয়াস মিয়াদের উল্লেখ করে জমির সীমানায় খুঁটি স্থাপন করা হয়েছিল।
সম্প্রতি জামাল মিয়া দুবাই থেকে দেশে ফিরে সামাজিক বিচারের পর জমি সীমানায় স্থাপিত খুঁটি উপড়ে ফেলে। পরে রোববার সন্ধ্যার আগে গিয়াস মিয়া নিজের ধানি জমি দেখতে গিয়ে সীমানা খুঁটি উপড়ে ফেলার প্রতিবাদ করলে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে জামাল মিয়া ও তার ভাই বাদশাহসহ  তাদের সহযোগীরা দা দিয়ে কুপিয়ে গিয়াস মিয়াকে গুরুতরভাবে আহত করে।

পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় গিয়াস মিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় ও স্বজনরা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে সন্ধ্যা রাত ৭টায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই কমলগঞ্জ থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাজ্জাদ মিয়া, সোহেল মিয়া ও সুজন মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

পরদিন সোমবার রাতে নিহত গিয়াস মিয়ার স্ত্রী ছালেখা বেগম বাদি হয়ে হামলাকারী জামাল মিয়া, তার ভাই বাদশাহ মিয়া, সাজ্জাদ মিয়া, সোহেল মিয়া, সুজন মিয়া ও আনছারুন বেগমসহ ৭ জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃতদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, এ মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজন গ্রেপ্তার আছে। মামলার তদন্ত চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত