কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:৫৫

কমলগঞ্জে শিক্ষা মেলা অনুষ্ঠিত

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শিক্ষা মেলা-২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আদমপুর তেতইগাঁও রসিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় বেসরকারী সংস্থা হীড বাংলাদেশের “অভিযাত্রা” প্রকল্পের আওতায় গণ স্বাক্ষরতা অভিযান ও পিকেএসএফ এর সহায়তায় হীড বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কর্মসূচীর আয়োজনে এই শিক্ষা মেলা শুরু হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, সিলেট এর বিভাগীয় বিদায়ী উপ-পরিচালক তাহমিনা খাতুন ও নবাগত উপ-পরিচালক এ কে এম সাফায়েত আলম জাতীয় প্রতাকা উত্তোলন করে শিক্ষা মেলার উদ্বোধন করেন।

পরে অতিথিরা ফিতা কেটে শিক্ষা মেলার ৫টি স্টল ঘুরে দেখেন। আদমপুর ইউনিয়নের মোট ২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এ মেলায় অংশ গ্রহণ করে।

২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী যৌথভাবে ৫টি স্টল সাজায়। শিক্ষা মেলায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিভিন্ন খেলা ধূলার আয়োজন করা হয়। ছিল যেমন খুশী সাজো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শীতের এই সকালে অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়ের দেয়ালিকা, চিত্রাংকনসহ তাদের নানা কাজ উপস্থাপন করে স্টলগুলিতে। বিদ্যালয়ের শিশু চিকিৎসকদলও চিকিৎসকের পোশাক পরিধান করে স্টলে বসে।

বেলা সাড়ে ১১টায়  আদমপুর ইউনিয়ন শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও হকতিয়ারখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল হকের সঞ্চালনায় বিদ্যালয় মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেটের বিদায়ী উপ পরিচালক তাহমিনা খাতুন।

উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেটের নবাগত উপ পরিচালক এ এক এম সাফায়েত আলম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বায়েজীদ খান, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কিশলয় চক্রবর্তী, কমলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন, তেতইগাঁও রসিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন, বাংলাদেশ মনিপুরী আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সমরজিত সিংহ, গণ স্বাক্ষরতা অভিযানের সহকারী ব্যবস্থাপক জামিল মোস্তাক ও হীড বাংলাদেশ এর সমৃদ্ধি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. আমিনুল হক।

সভায় অতিথিরা বলেন, দেশের সমৃদ্ধি ও বড় অর্জন হচ্ছে শিক্ষায় উন্নয়ন। আর তাই শিক্ষার মান উন্নয়নের সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে  উন্নতি করতে হবে। এজন্যই শিক্ষা মেলার আয়োজন।

সবশেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদেও মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত