সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:১৯

সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতি মুখোমুখি

সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ের সামনে উত্তর দিকে একটি টিনসেট দোকানঘর (ক্যান্টিন) উচ্ছেদ করার ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতি মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।

ওই টিনসেড দোকানঘর উচ্ছেদ করা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই জেলা প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার দুপুরেও উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

আইনজীবীগণ সমিতি প্রাঙ্গণের ক্যান্টিন ভাঙ্গা এবং তাঁদের সাথে অসদাচরনের অভিযোগ এনে সোমবার দুপুরে আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ভবনের সমানে রাস্তা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সমিতি ভবনের সামনে পথসভায় মিলিত হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন অ্যাড. আফতাব উদ্দিন, অ্যাড. জহুর আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মল্লিক মঈন উদ্দিন সুহেল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জিয়াউল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শেরেনুর আলীসহ আইনজীবী নেতারা। এর আগে অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শফিউল ইসলামকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত নিবাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের সকল আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন আইনজীবীগণ।

এদিকে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের দাবি, জেলা আইনজীবী সমিতির তৈরি করা বাণিজ্যিক টিনসেড ঘরটি সরকারি জমিতে এবং জেলা প্রশাসনের কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে। বার বার অনুরোধ করার পরও তারা ঘরটি না সরানোর পর উচ্ছেদ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৪ ডিসেম্বর ওই টিনসেড ঘরটির কিছু অংশ উচ্ছেদ করা হয়।

আইনজীবী সমিতির তৈরি করা ওই টিনসেড দোকানঘর উচ্ছেদ করা নিয়ে ক্ষুব্দ হয়েছেন আইনজীবীগণ। তাঁদের দাবি সমিতির সাথে আলোচনা না করেই তাদের টিনসেড ঘরটি ভাংচুর ও উচ্ছেদ করা হয়।

এঘটনায় সোমবার বিকালে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৪ ডিসেম্বর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সফিউল আলমের নির্দেশে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে সমিতির দখলে ও নিয়ন্ত্রণে থাকা টিনসেড ঘর সমিতির সাথে কোন আলোচনা না করে, সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ভাংচুর করে উচ্ছেদ করা হয়। এতে জেলা আইনজীবী সমিতি নিন্দা জানান এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সফিউল আলমকে সুনামগঞ্জ থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানান। পাশাপাশি বিষয়টির সুরাহা না হওয়ায় পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বর্জন করবেন।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারি কমিশনার) মোহাম্মদ আমিনুল এহসান খান বলেন,‘ জেলা আইনজীবী সমিতির দাবি অযৌক্তিক। আইনজীবী সমিতি যে স্থানে বাণিজ্যিক টিনসেড ঘর নির্মাণ করেছে সেই জায়গাটুকু সরকারি। কোন ধরনের অনুমোদন না নিয়ে বাণিজ্যিক টিনসেড ঘর নির্মাণ করেছেন তাঁরা। তাঁদেরকে বার বার মৌখিকভাবে অনুরোধ করার পরও সেটি না সরানোর ফলে সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। আমরা সরকারি কর্মচারি হিসেবে বেআইনভাবে দখল করা সরকারি জমি উদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছিলাম।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত