সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

০১ জানুয়ারি, ২০১৯ ২১:২২

দিরাইয়ের হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩৫ জন জেল হাজতে

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় একটি ডোবার মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় ভাটিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান কাজী (৫০) সহ ৩৫ জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) দিরাই জোনের আমলগ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শাহজাহান কাজী ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. প্রদীপ কুমার নাগ বলেন, ‘দিরাইয়ের ভাটিপাড়া গ্রামের আনোয়ার কাজী হত্যা মামলা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান কাজীসহ ৩৫ জন আসামী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করি। আদালত সবার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো আদেশ দেন। এই মামলার অপর তিন আসামী জেল হাজতে আটক রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ২১ নভেম্বর বুধবার সকালে ভাটিপাড়া গ্রামের কাছের একটি ডোবার মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গ্রামের আনোয়ার কাজী (৩৮) নিহত হন ও ১০ জন আহত হন। পুলিশ এ ঘটনায় বশির আহমদ (৪৮) ও সায়েদ আহমদ (৫০) নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করে।

ঘটনার দুইদিন পর ২৩ নভেম্বর নিহত আনোয়ার কাজীর ছোট ভাই ভাটিপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সানোয়ার কাজীর বাদী হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান কাজীসহ ৪১ জনকে আসামী করে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর রাজধানী শহর থেকে আখলাক কাজী (২১) ও শাল্লা থানার আটগাঁও গ্রাম থেকে সালেক মিয়া (৫০) কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ভাটিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান কাজী ও তাঁর আপন চাচাতো ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সানোয়ার কাজীর মধ্যে গ্রামের পাশের একটি ডোবার মালিকানা নিয়ে বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে দশটার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন ওই ডোবার দখল নিতে গেলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলেই মারা যান আনোয়ার কাজী। আনোয়ার কাজী যুবলীগ নেতা সনোয়ার কাজীর বড় ভাই। এ সময় সানোয়ার কাজী, স্বাধীন কাজী, রুহুল আমিন কাজী, হিরো কাজী, সাইকুল কাজী, অর্ক কাজী, মিনারা বেগম, আইকুল ইসলাম ও পাকুল কাজীসহ ১০জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান কাজীর পক্ষের বশির আহমদ ও সায়েদ আহমদকে আটক করে পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত